নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৪ এএম
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সারাজীবন দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন, মৃত্যুর পরেও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে নিজের শরীরকেও মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন দেশের ভালোর জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য সামিয়া। তিনি পরিবারের সম্মতি নিয়েই রেখেছিলেন। সে অনুযায়ীই সবকিছু হবে। মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ওষুধ নীতির অন্যতম প্রণেতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও নাগরিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ঔষধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি।
সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।