বাঁধ এখন পর্যটনকেন্দ্র

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম

রিভারভিউ ইকো পার্ক। ছবি: প্রতিনিধি

রিভারভিউ ইকো পার্ক। ছবি: প্রতিনিধি

দক্ষিণের জেলা বাগেরহাটের সর্বশেষ উপজেলা শরণখোলা। প্রায় ১৫২ বর্গকিলোমিটারের এই উপজেলার পূর্বে বলেশ্বর নদী, উত্তরে মোরেলগঞ্জ, দক্ষিণ ও পশ্চিমে সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগর। ঝড় জলোচ্ছ্বাসের মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই উপজেলাবাসীর নিত্যসঙ্গী। ফলে উপজেলাবাসীর দাবি ছিল ঝড় জলোচ্ছ্বাস ঠেকানোর জন্য বলেশ্বর নদীর পাড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ।

জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে সরকার। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে বলেশ্বর নদীর তীরে করা বাঁধ এখন আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে শরণখোলাবাসীর কাছে। মাটির বাঁধকে টেকসই করতে দেওয়া কংক্রিটের ব্লক রীতিমতো দর্শনীয় স্থানে রূপ নিয়েছে।

একই সঙ্গে নদী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার মানুষ আসছে শরণখোলা উপজেলা সদর সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর তীরে। একদিকে বিশালাকৃতির নদী, নদীর ওপারে বন, সুদৃশ্য নদীর তীর, নীল আকাশ-সব মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। যা আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের।

এদিকে বলেশ্বর নদীর তীরের এই পর্যটন সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। সম্ভাবনাময় এই তীরের নাম দেওয়া হয়েছে রিভারভিউ ইকো পার্ক। রায়েন্দা-মাচুয়া ফেরিঘাটের কিছু সামনে থেকে বড়ইতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে ব্লকে লাল ও হলুদ রঙ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে রঙিন ছাতা ও বিচ খাট।

বিভিন্ন প্রকার খাবারের পসরা নিয়ে বসেছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। নদীর সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে এনেছে স্পিডবোট। ১০০ টাকা ব্যয়ে স্পিডবোটে ঘুরতে পারেন দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের কটকা-কচিখালী পর্যটন এলাকায়ও দর্শনার্থী বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিবার-পরিজন নিয়ে বিকেলে ঘুরতে আসা রুহুল আমিন নামের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, শান্ত ও নির্মল পরিবেশ। সঙ্গে নদীর স্রোতের কলতান যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। সবার উচিত অবসর সময়ে নদী ও নির্মল পরিবেশ যাওয়া।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh