আ.লীগ নেত্রীসহ ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের এজাহার দায়ের

জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের হয়েছে।

আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিক নাদিম বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমসহ নামোল্লেখ করে পাঁচজন ও অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এজাহারে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম দলীয় পদলাভের পর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে শাহীনা বেগম সাংবাদিক নাদিমের উপর ক্ষিপ্ত হন।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাদিম পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বকশীগঞ্জ মধ্যবাজারে এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহীনা বেগমের নির্দেশে যুবলীগ নামধারী শামীম, স্বপন, শেখ ফরিদ, হেলালসহ একদল সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের বেধড়ক মারপিটে আহত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

হামলায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শামীম মুঠোফোনে বলেন, নাদিম বিভিন্ন সময় আমাদের দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে। তিনি আমার বন্ধু, তাকে এসব করতে অনেক নিষেধ করেছি। তবে আক্রমণের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমসহ নামোল্লেখপূর্বক পাঁচজন ও অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নাদিম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, আমি এখানে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে নাদিম নানাকিছু লেখালিখি করছে। তবে তাকে মারধরের ঘটনার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন।

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের উপর হামলার ঘটনায় জামালপুর প্রেসক্লাব ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আটক দাবি করেন। অন্যথায় কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন।