ইতিকাফের সময় যেসব কারণে বের হওয়া যাবে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ইতিকাফ মাহে রমজানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মাহে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ইতিকাফ করতেন। সাহাবায়ে কেরামও ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে মুসলমানগণ আল্লাহর জিকির ও ইবাদতের মাধ্যমে শবে কদর তালাশ করেন। সর্বোপরি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করে থাকেন।

২০ রমজানের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগমুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ মুসলমানদের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। গ্রাম বা মহল্লাবাসীর পক্ষে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি এই ইতিকাফ করলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।

ইবনে উমার (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং : ১১৭১)

সাধারণত ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়ার নিয়ম নেই। রাতে বা দিনে ইচ্ছাকৃত হোক কিংবা ভুলবশত। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ইতিকাফ অবস্থায় বের হওয়া যাবে।

ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে যেসব কারণে বের হতে পারবেন:

১. ইতিকাফ অবস্থায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে। যেমন প্রস্রাব-পায়খানার জন্য মসজিদে কোনো ব্যবস্থা না থাকলে বের হওয়া যাবে।

২. শরীর পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে কিংবা ইতিকাফ অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তাহলে মসজিদে গোসল করার ব্যবস্থা না থাকলে বের হতে পারবেন।

৩. যে মসজিদে ইতিকাফ করছেন সেখানে যদি জুমার নামাজের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে জুমার নামাজের জন্য এতটুকু সময় নিয়ে বের হতে হবে যাতে মসজিদে গিয়ে খুতবার পূর্বে ২/৪ রাকাত সুন্নাত আদায় করা যায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh