যেসব কারণে বাফুফের সেক্রেটারিকে নিষিদ্ধ করল ফিফা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

আবু নাঈম সোহাগ। ছবি: সংগৃহীত

আবু নাঈম সোহাগ। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে বিধি ভঙ্গের দায়ে দুই বছরের জন্য ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।

গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে ৫০ পাতার একটি প্রতিবেদন দিয়েছে ফিফা। সেখানে মোটা দাগে চার ধারার অধীনে মোট ৩০৬টি পয়েন্টে অভিযোগের বর্ণনা দিয়ে সত্যতার প্রমাণের কথা বলেছে বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

নিষিদ্ধের কারণগুলো হল- ২০২০ সালের ফিফা এথিকস কোডের ধারা ১৫ (সাধারণ কর্তব্য), ১৩ (আনুগত্যের দায়িত্ব), ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার) এবং ২৮ (অযথার্থতা ও অনুদানের অপব্যবহার)।

ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটির বিচারিক চেম্বার অভিযোগের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে বাফুফে সম্পাদকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। চিঠি পৌঁছার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটির বিচারিক কমিটিতে চেয়ারপারসন গ্রীসের ভ্যাসিলস স্কৌরিস’সহ অন্য সদস্যরা হলেন- চিলির পামেলা ক্যামাস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ আল কামালি। এছাড়া সোহাগকে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ফিফা জুডিশিয়াল বডির পরিচালক কার্লোস শ্নেইডার। প্রতিবেদনটি বলছে, ফিফার দেওয়া অনুদান অপব্যবহার করেছে বাফুফে এবং সেই বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহাগ ভুয়া নথি দিয়েছেন।

ফান্ডের অর্থ খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে বাফুফের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে ফিফার তদন্তে এবং শুনানিতে গলদ ধরা পড়েছে।

সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে ফিফার সদর দপ্তরে ডাক পড়েছিল সোহাগসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আরও তিন কর্মকর্তার।

এর বেশ কিছুদিন আগে ফিফা বাফুফেতে তাদের প্রতিনিধি বসিয়ে অডিট প্রতিবেদনগুলো তদন্ত করছিল। সেই তদন্ত করতে গিয়ে ফিফার ফান্ডের ব্যয়ের হিসাবে নানা অসংগতি খুঁজে পেয়েছিল ফিফা। এ কারণেই ফেব্রুয়ারিতে ডাক পড়েছিল তাদের।

যদিও ওই বিষয়গুলো নিয়ে সব সময় বাফুফের কর্মকর্তারা বলে থাকেন, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফার ‘নিয়মমাফিক’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাক পড়ে তাদের। কিন্তু এবার বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল।

এদিকে, ফিফার ৫৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বাফুফে সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশটি নিয়ে ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিলের সুযোগ রয়েছে। তবে বিষয়টি প্রকাশের ২১ দিনের মধ্যে সেই আপিল সম্পন্ন করতে হবে। পরবর্তীতে বাড়তি আরও ১০ দিনের ভেতর ফিফার বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত যুক্তি ও বিবৃতি জমা দিতে হবে তাকে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh