সুদানে ক্ষমতা দখলে সংঘাত, নিহত বেড়ে ১০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৫ পিএম

অস্ত্র হাতে আরএসএফের সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র হাতে আরএসএফের সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে কয়েকদিন ধরে চলছে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং দেশটির সেনাবাহিনী সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাবে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ‘জরুরি মানবিক যুদ্ধবিরতিতে’ একমত হয়েছে উভয়পক্ষ। দুইপক্ষের মধ্যে তিন ধরে চলমান এই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ জনে এবং আহত হাজার ছাড়িয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়।

সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রথমদিন দুই পক্ষই বিভিন্ন জায়গায় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে বিবৃতিতে দেয়। কিন্তু তৃতীয় দিনের মাথায় এসে রাজধানী খার্তুমে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, লড়াইয়ে এখন সেনাবাহিনী এগিয়ে আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রবিবার (১৬ এপ্রিল) আরএসএফ দাবি করেছিল, রাজধানী খার্তুম, পার্শ্ববর্তী শহর ওমদুরমান, দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে, সুদানের উত্তরে মেরোওয়ে বিমানবন্দরের অংশগুলো দখলে নিয়েছে। পরবর্তীতে বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু জায়গায় পুনরুদ্ধার করেছে জানিয়ে পাল্টা বিবৃতিতে দিয়েছে সেনাবাহিনী।

কিন্তু আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে সুদানের প্রেসিডেন্টের বাসভবন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়, গ্রাউন্ড ফোর্সের সদর দফতর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে একে বিজয় বলে আবারও দাবি করেছে আরএসএফ।

এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি বিদ্রোহী বাহিনী ওই চুক্তির কোনো ধরনের লঙ্ঘন করে, তবে তার জবার তারা পাবে।

সম্প্রতি আধা সামরিক বাহিনী আরএফএস সদস্যদের গোটা সুদানে পুনরায় মোতায়েন করা হয়। সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী এটিকে তখন থেকেই একটি হুমকি হিসাবে দেখে আসছে।

মূলত এর জের ধরেই গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তবে কোন বাহিনী প্রথম হামলা শুরু করে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিলের’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন।

এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।

বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছ, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূত করণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।

সূত্র: বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh