নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ পিএম
পোশাক শ্রমিক। ফাইল ছবি
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে তৈরি পোশাক, নীটওয়ার এবং অন্যান্য খাতসহ প্রায় ৩০০ কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশের এ তথ্য মতে, দেশের মোট ৯ হাজার ৬১৬টি কল-কারখানায় শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাসহ মোট ২৮১টি কল-কারখানায় শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
শিল্প পুলিশ বলছে, কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকায় এ বছর ৭৯টি কারখানায় ঈদের ছুটি হচ্ছে না। তবে এই ঈদের ছুটি পরবর্তীতে শ্রমিকরা ভোগ করতে পারবেন।
সূত্র জানায়, দেশের ৮টি অঞ্চলের মধ্যে ১ নম্বর অঞ্চল আশুলিয়াতে ১ হাজার ৭৯২টি কারখানার মধ্যে ৬৪টি কারখানা ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ২ নম্বর অঞ্চল গাজীপুরের মধ্যে ২ হাজার ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টি কল-কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে ৩ নম্বর অঞ্চল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৮০টি কল-কারখানার মধ্যে ১৬৩টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ৪ নম্বর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের ২২০৭টি কারখানার মধ্যে ১৮টি কারখানায় এবং খুলনায় অঞ্চলে ৩টি কল-কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) আরো বেশি কিছু কোম্পানিতে ঈদের ছুটি দেওয়া হবে। আর শুক্রবার থেকে বাকি সব কল-কারখানা ছুটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা নেতারা।
তারা বলছেন, একসঙ্গে সব কল-কারখানা ছুটি হলে বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্রমিকদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। তাই কারখানা মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে ধাপে ধাপে, আগে পরে করে ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য। কারখানা মালিকরাও সেই নির্দেশনা অনুসারে বেতন-বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি ঘোষণা করছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, যেসব কারখানায় অর্ডার কম রয়েছে শ্রমিকদের বেতন বোনাস দিয়ে তারা ঈদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে। এবার আমরা বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকদের বলেছি, ধাপে ধাপে ছুটি দিতে। যাতে শ্রমিক ভাই ও বোনদের যাতায়াতের ভোগান্তি কম হয়। তাই তারাও সেভাবে ছুটি দিচ্ছে।