নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৮ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৯ পিএম
সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকায় তীব্র যানজট। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী থেকে ঢাকার বাইরে যাওয়ার বাস টার্মিনাল মহাখালী-গাবতলী এলাকার সড়ক প্রায় ফাঁকা থাকলেও সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে গাবতলী, মহাখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে যান চলাচল খুবই কম। এর মধ্যে গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত দেখা গেছে প্রায় ফাঁকা। আর মহাখালী রেলগেট থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসের সিরিয়াল থাকলেও রাজধানীতে চলাচল করা বাসের সংখ্যা কম।
গাবতলীতে আল হামরা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টার বাস সময়মতো ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশে। অন্য বছরের মতো ভিড় নেই, পাইনি যানজটের খবরও।
অন্যদিকে, সকাল ৮টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, মালিবাগ, খিলগাঁওসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে যানবাহন কম। এজন্য প্রায় ফাঁকা ছিল সড়ক।
তবে সকাল ১০টা থেকে এসব সড়কে যান চলাচলের চাপ বাড়ে। এ কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। যানজটের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী লোকমান হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিসের উদ্দেশে ১২টায় রওনা দিয়েছি। তবে যে
যানজট লেগেছে, তাতে মনে হচ্ছে অফিস পৌঁছাতে বিকেল হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ নাঈম নামের এক বাসযাত্রী বলেন, সায়েদাবাদ-কমলাপুরের রাস্তা যানজটের কারণে পুরোপুরি ব্লক হয়ে গেছে। একদিকে যানজট, অন্যদিকে গরমের ভোগান্তি। সবমিলিয়ে অবস্থা খারাপ।
সায়েদাবাদে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. রানা বলেন, ভোর থেকেই মহাসড়কে জ্যাম। থেমে থেমে বাস চলছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আজ ভোর থেকে যাত্রীরা ভিড় জমিয়েছেন। বিশেষ করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চাপ বেশি। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ বাসে যেতে বেশি আগ্রহী।
ঈদের আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল)। তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কল-কারখানার শ্রমিকরা এবারও ধাপে-ধাপে ঈদে বাড়ি যাবেন।