নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১৫ এএম
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত
ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশার পারদজুড়ে থাকে রেলপথ। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নাড়ির টানে নিজের স্বজনদের কাছে যেতে পথ পাড়িতে রেলকেই চোখ বন্ধ করে বেছে নেবে সবাই। তবে এবার ঈদে কমলাপুর রেলস্টেশনকে যেন নতুন রূপে দেখা গেলো। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনেও একেইবারের ফাঁকা রেলস্টেশনটি। নেই কোনো ভিড় কিংবা শিডিউল বিপর্যয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সঠিক সময়ে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় চতুর্থ দিনের ঈদযাত্রা। এদিন সবকটি ট্রেন সঠিক সময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে।
উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে কিছুটা ভিড় থাকলেও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলো বেশ ফাঁকা দেখা গেছে। যারা গত ১০ এপ্রিল আগাম টিকিট কেটেছিলেন তারাই আজ যাত্রা করছেন। ট্রেনের ভেতরের পরিবেশও স্বস্তিদায়ক হওয়ায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
অনলাইনের টিকিট ঝামেলা পেরিয়ে যারা উঠে বসেছেন ট্রেনে তাদের ঈদ আনন্দ যেন শুরু হয়ে যায় তখনই। এবার ঈদযাত্রার শেষদিন পর্যন্ত এমন স্বস্তিদায়ক হবে জানিয়ে রেল কর্মকর্তারা বলছেন, শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি আর টিকিট যার ভ্রমণ তার নিশ্চিত করতে নেয়া কার্যক্রম এবার লাঘব করেছে ভোগান্তি।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৯ এপ্রিল) যাত্রী চাপ কম থাকলেও সকাল থেকেই প্রতিটি ট্রেনেই ছিল ভিড়। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন যাত্রীরা।
তার আগের দিন গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে শুরু থেকে সবকটি ট্রেনই সঠিক সময়ে রাজধানীর কমলাপুর ছাড়লেও যাত্রী ছিল খুবই কম।
মূলত সোমবার (১৭ এপ্রিল) থেকে ট্রেনে শুরু হয় ঈদযাত্রা। যদিও প্রথম দিন কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় চট্টগ্রামের যাত্রীদের। দুর্ঘটনার কারণে এদিন বাতিল হয় সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রা; আর দুই ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে মহানগর প্রভাতী।
ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৩৪টি আন্তঃনগরসহ মোট ৫২টি ট্রেনে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ ঢাকা ছাড়ার কথা।