নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৪ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৭ এএম
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ঈদযাত্রার শেষদিন আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল)। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আজ ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ তৈরি হয়েছে। দেখা গেচে সেই চিরচেনা উপচেপড়া ভিড়। সকালে ট্রেন হলেও অনেকে সেহরি খেয়েই ভোরের আলো না ফুটতেই স্টেশনে উপস্থিত হন।
আজ সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। যাত্রীরা বলছেন, গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা মানে ঈদের খুশি কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। সেহরির পর ঘুমিয়ে গেলে আর বাড়ি যাওয়া হবে না। তাই সেহরির পরই স্টেশনে এসেছি।
এদিকে ধূমকেতু ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের ছাদেও দেখা গেছে যাত্রী। যাত্রীর চাপ বাড়লেও টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তারা তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করে স্টেশনে প্রবেশ করছেন। অন্যদিকে যাত্রীর নিরাপত্তায় র্যাব-পুলিশের সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
দেখা গেছে, এদিন প্রতিটি যাত্রীকে টিকিট থাকা সাপেক্ষ স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করছেন।
ট্রেন যাত্রার দুই ঘণ্টা আগে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হয়। তবে নিদিষ্ট আসনের শতকরা ২৫ ভাগ টিকিটের বেশি বিক্রি করা হচ্ছে না। এতে অনেকেই টিকিট কাটতে না পেরে স্টেশন ত্যাগ করছেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ শেষ দিন হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেশি। তবে চাপ থাকলে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সবাই স্টেশনে প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের ট্রেন সময়মতো ছেড়েছে। এতে যাত্রীরাও খুশি।
এবারের ঈদযাত্রায় উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা সাতটি ট্রেন রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে থামছে না। ট্রেনগুলো সরাসরি কমলাপুর চলে আসছে। ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে এমন উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রা শুরুর দিন অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলবে। এবার ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় অনলাইন মাধ্যমে ৭ এপ্রিল থেকে।
প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল ভোর থেকে ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথম তিনদিন (সোম, মঙ্গল ও বুধবার) যাত্রীর তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।