নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৪ পিএম
বঙ্গবন্ধু সেতু। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১২ থেকে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১৭/১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের কারণে গত রবিবার থেকে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।
তারপর প্রতিদিনই যানবাহন বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, বুধবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩২ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ১২৮ টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব প্রান্ত থেকে (টাঙ্গাইল প্রান্ত) উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ৩৭ হাজার ১৮৪ টি যানবাহন। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে পার হয় ১৮ হাজার ৯৪৪ টি যানবাহন। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৬৯টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৫১ টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৮৫ টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা।
পুলিশ সূত্র জানায়, অন্যবারের তুলনায় এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তেমন যানজট হয়নি। ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক একমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করায় যানজট এড়ানো গেছে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন টাঙ্গাইল থেকে সেতু পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে তেমন যানবাহনের চাপ নেই। নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে।
এলেঙ্গা গ্যাস স্টেশনে বগুড়াগামী মাইক্রোবাসের যাত্রী শফিকুল ইসলাম জানান, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে তেমন অসুবিধা হয়নি। স্বাভাবিক সময়ের মতো এক ঘণ্টায় এ পথ পাড়ি দিতে পেরেছেন।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, রাতে সেতুর ওপর একটি গাড়ি বিকল হওয়ায় কিছুটা যানজট হয়েছিল। সকালের মধ্যেই সে জট কেটে যায়। দুপুরের দিকে যানবাহনের চাপ কমে আসে।