গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৩ পিএম
অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের কর্মী সভা। ছবি: গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাল হবে মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই। আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম একে অপরকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিচ্ছেন। আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হলেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণায় বিধি নিষেধ থাকলেও সরকার দলীয় প্রার্থী কৌশলে সভা সমাবেশ করছেন। আজও গাজীপুরের কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি থেকে কর্মী সভা করেছেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেন, এটা নির্বাচনী প্রচারণা নয়। দলীয় রুটিন মোতাবেক কর্মী সভা। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনেই এসব সভা করা হচ্ছে। নৌকার ভোট চাওয়া আচরণ বিধি লঙ্গের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এসময় জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনের গুম হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কোন কর্মী ও সমর্থক তাকে হুমকি দেননি। তিনি এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোন অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরিও করেননি। সুতরাং তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জাহাঙ্গীর আলমকে নিরাপত্তা বলয়ে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থী বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ করে বেড়াচ্ছেন এটা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। সরকারকে প্রশ্নবিধ্য করা হচ্ছে।
অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে তিনি জানান, সরকারে দলের সমর্থক কিছুই মানছেন না। সেখানে অভিযোগ দিয়ে কোন ফলাফল আসবে না। তবে, সকল বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে করা হবে। এরপর থেকে আচরণ বিধির বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে। তবে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনীয় সভা সমাবেশ করা যাবে না। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী সভার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। নির্বাচনী কর্মীসভার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ দিলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাধারণ নাগরিক। আগামীকাল হবে প্রার্থিতা যাচাই। ৯ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।