নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম
রেমিট্যান্স। ছবি: প্রতীকী
ডলারের দাম কমতে থাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৯.৪৪ শতাংশ কমেছে। আজ মঙ্গলবার (২ মে) এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এপ্রিল মাসে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার কম। তবে গত মার্চ মাসে ডলারের দাম বেশি থাকায় বাংলাদেশ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা থেকে হঠাৎ করে নিম্নমুখী হয় প্রবাসী আয়। এরপর ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠাতে নানামুখী উদ্যোগ নিলে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। মার্চ মাসেও সে ধারা অব্যাহত ছিল। এপ্রিলে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবে ধরে নেওয়া হলেও ঈদ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্সের যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায় আয়ে আবার ছন্দপতন ঘটেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদাও) গত রবিবারও রেমিট্যান্সের জন্য ডলারের দর ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা নির্ধারণ করে, যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অক্টোবরে আরও বলেছিল, কিছু আমদানিকারক অবৈধ চ্যানেল ব্যবহারের পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য আন্ডার ইনভয়েসিং করে। এছাড়া তারা হুন্ডি বাজার থেকেও বেশি দামে ডলার কেনে। এটিও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার একটি কারণ।
কর্মকর্তাদের তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ যে রেমিট্যান্স পায়, তার মাত্র ৫১ শতাংশ আসে আনুষ্ঠানিক ও বৈধ পথে। আর বাকি ৪৯ শতাংশ রেমিট্যান্স আসে হুন্ডির (অবৈধ চ্যানেল) মাধ্যমে।