জ্বলছে মনিপুর, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম

মনিপুর আদিবাসীর সঙ্গে সংঘাত। ছবি: সংগৃহীত

মনিপুর আদিবাসীর সঙ্গে সংঘাত। ছবি: সংগৃহীত

আদিবাসীদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর। গত কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী আসাম রাইফেলস এবং সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। রাজ্য সরকার  দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশনা জারি করেছে। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস’র।  

জানা যায়, গতকাল বুধবার (৩ মে) অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলায়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। বহু এলাকায় হাতাহাতি, মারধর, দোকানপাট ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। 

যার জেরে মণিপুরের আটটি জেলায় কারফিউ জারি করেছে এন বীরেন সিং সরকার। গোটা রাজ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি আধাসেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলছে টহল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মণিপুরে অশান্তি চলছে। এর মূলে রয়েছে মেটেই জনজাতির সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘাত। মণিপুরের মেটেই জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির তকমা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। বিজেপি সরকার তা মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ কুকিসহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন।

তাদের বক্তব্য, মেটেইরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। তাছাড়া, মণিপুরের বিজেপি সরকার স্থানীয় বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের আশঙ্কা, সরকার এবার বনভুমি ধ্বংস করতে চলেছে।

তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত কয়েক মাসে রাজ্যে অন্তত তিনটি গির্জা ভেঙেছে প্রশাসন। সরকারের দাবি, ওগুলো ছিল বেআইনি। সরকারের এই পদক্ষেপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আদিবাসী খ্রিস্টানরা। সেটাও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh