কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩, ০১:২৩ পিএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম

ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে। ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে। গতকাল রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

আজ শনিবার (১৩ মে) দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে চট্টগ্রাম এবং পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, মোংলা বন্দরকে ৪ নাম্বার সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোন হচ্ছে না। এটি অতি প্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমারে এবং কক্সবাজারে আঘাত হানবে। কক্সবাজারের ১৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে এটি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনে ৬ থেকে ৯ ফুট এবং ভোলা, বরগুনায় হতে পারে ৩ থেকে ৪ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তবে মোখা মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।  প্রয়োজনে সব বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনী কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, বাতাসের গতিবেগ কমে এখন ১৫০ থেকে ১৬০ হয়েছে। এখন এটাকে এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়েছে। আগে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। এখন তা কমে ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার হয়েছে। এটা এখন আর সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আজকে সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ কমে এসেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh