মানসিক অশান্তি থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা

ইমন হাওলাদার

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ০১:৪৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মানব সমাজ এক বিচিত্র অঙ্গন। যেখানে আছে সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা। মানুষ তার জীবনকে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত থাকে। মানুষের প্রতিটি কর্মের মূলে রয়েছে কিছু লক্ষ্য। যা প্রায় সময়ের সফলতায় রুপ নিতে পারে না। যার ফলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। 

অন্য দিকে পরিবার ও সমাজ সেই ব্যর্থতাকে পুনর্জন্ম দেয় বার বার। আমরা সবাই চাই উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করতে যা আদৌ সম্ভব নয়। সবাই উন্নতির চরম শেখরে অবস্থান করলে, সমাজের অন্য সকল কর্ম কে বা কারা সম্পাদন করবে। 

তবে এই ভেবে বসে থাকলে চলবে না যে আমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ভাগ্য বলেও কিছু আছে এটা স্মরণ রাখতে হবে। এমন কোন মানুষ নেই যার জীবনে কোনদিন ব্যর্থতা আসেনি। ব্যর্থতাকে পুঁজি করেই সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। 

একটা মানুষ যখন ব্যর্থ হয় তখন তার মস্তিষ্ক কিছু সময় অকেজো হয়ে যায়। কারন তার মস্তিষ্কে যে পরিকল্পনা সে ধারণ করে ব্যর্থ হওয়ায় সাথে সাথে তা বিলুপ্ত পায়। তাই অন্য কাজের দিকে দৃষ্টিপাত করতে তার কিছুটা সময় লাগে। 

এর জন্য পরিবার ও সমাজের উচিৎ ব্যর্থ মানুষটাকে বেশি করে সময় দেওয়া। সে যাতে একাকিত্ব অনুভব করতে না পারে এমন পরিবেশ তৈরি করা। তাকে বুঝতে দিতে হবে যে এটার জন্য তার জীবন নয়। বরং এটায় সফল হলে সে জীবন চলার পথে এখন থেকে একটু ভালো অবস্থানে থাকতে পারত এতটুকুই।

সে যাতে পরবর্তি পদক্ষেপ খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে নিতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তার প্রতি কোন চাপ যেন না পড়ে সেই দিকে গভীর মনোযোগ দিতে হবে। এর জন্য তার ভিতরে স্বস্তি আসবে যে, সে ব্যর্থ হলেও পরিবার ও সামাজ তার সাথে আছে। যার ফলে সমাজ থেকে দূর হবে আত্মহত্যা নামক ঘৃণিত অপরাধ।

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh