লালমনিরহাটে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ফাঁস

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম

পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ফাঁস হয়েছে। পরে তোপের মুখে ঘুষের ২৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে ওই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। এছাড়া ঘুষ নিয়ে কাজ না করায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে।

জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকারি চাকুরিতে যোগ দেন। এ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কনিষ্ঠ কর্মচারীদের বেতন পূর্বে যোগ দেওয়া কর্মচারীদের বেতনের চেয়ে বেশি হওয়ায় ২০০৫ সালে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বেতন সমতাকরণে জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী বেতন পুনঃনির্ধারণের তথ্য বিবরণী হালনাগাদ করতে আদেশ দেন। 

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরের মাধ্যমে আইবাস প্লাস ও পে-ফিক্সেশন অনলাইনে বেতন নির্ধারণী তথ্য হালনাগাদ করতে কাগজপত্র ২০১৯ সালের জুলাই মাসে জমা দেন ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ।  এসময় বেতন পুনঃনির্ধারণে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। পরে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয় তিনি। এরপর থেকে দীর্ঘ ৯ মাস নানা টালবাহানা করে অবশেষে সমতাকরণ বেতন হবে না বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু ঘুষ গ্রহণের সাক্ষী থাকায় তোপের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ঘুষের ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়। পরে ঘুষ নেয়া ও ফেরত দেয়ার ঘটনা জানাজানি হয়।

এছাড়াও ২০২১ সালের ৪ মে ঘুষ দাবি করার ঘটনায় ওই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ক্ষুব্ধ হয়ে ঘণ্টাব্যাপী তাকে তার নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্লিজ আমাকে বিরক্ত করবেন না।’

তবে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ঘুষ নেওয়া ও ফেরত দেয়ার ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh