চুয়াডাঙ্গায় ২ কেজি স্বর্ণের বার ও ৭৭ কেজি রূপার গহনা উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম

নারীর দেহ তল্লাশি করে উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বার। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

নারীর দেহ তল্লাশি করে উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বার। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামে ও দর্শনা পৌর এলাকায় বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ ২ কেজি ৩৪১ গ্রাম স্বর্ণের বার ও ৭৭ কেজি ৭০০ গ্রাম ভারতে তৈরি রূপার গহনা উদ্ধার করেছে।

গতকাল বুধবার (২৪ মে) পৃথক দুটি অভিযানে আটক ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সীমান্তবর্তী বারাদী গ্রাম থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচার করা হবে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অটোরিকশা যাত্রী নাস্তিপুর গ্রামের মরহুম কাশেমের স্ত্রী শাহানারার (৪৮) দেহে তল্লাশি করে স্কচটেপ মোড়ানো ২টি প্যাকেট উদ্ধার করে। ওই প্যাকেট থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ও ১টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এরপর শাহানারাকে আটক ও স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।


এ ব্যাপারে বিজিবি সদস্য হাবিলদার ওবাইদুর রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় চোরাকারবারি শাহানারার বিরুদ্ধে মামলা এবং জব্দ করা স্বর্ণ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি কার্যালয়ে জমা করা হয়েছে।

এদিকে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। বিকেল ৫টায় ওই এলাকার মোস্তফা আলীর বসতবাড়িতে অভিযান চালালে দর্শনা মোবারকপাড়ার মরহুম বাবু আলীর ছেলে চোরাকারবারি সোহাগ (৩০) রূপা ভর্তি ৪টি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে পালিয়ে যান। তার ফেলে যাওয়া বস্তা পরিত্যক্ত অবস্থায় এবং পার্শ্ববর্তী সোহাগের বসতবাড়ি থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১২৬টি খালি প্যাকেট এবং ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকরা ৪টি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে ৭৭ কেজি ৭০০ গ্রাম ভারতে তৈরি করা অবৈধ রূপার গহনার সন্ধান মেলে।


এ ব্যাপারে সুবেদার জহির উদ্দিন বাবর বাদী হয়ে পলাতক চোরাকারবারি সোহাগের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা এবং জব্দকরা রূপার গহনা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি কার্যালয়ে জমা করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh