বৃষ্টিতে ছাদবাগানের যত্ন

আজহার মাহমুদ

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ১১:৫৩ এএম

ছাদবাগান। ছবি: ফরিদা আক্তার

ছাদবাগান। ছবি: ফরিদা আক্তার

বৃষ্টির পানিতে থাকা নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়ন গাছের জন্য অনেক উপকারি। তাই বৃষ্টির পানি কলের পানির চেয়ে অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এ কারণে বর্ষাকালে গাছের পাতা আরও সতেজ হয়ে ওঠে। তবে অল্প বৃষ্টির পানি ফসলের জন্য উপকারী হলেও অধিক বৃষ্টিতে গাছ মরে যেতে পারে। 

এবিষয়ে ছাদবাগানী ফরিদা আক্তার বলেন, যেসব গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না, সেগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে। যেমন শাক জাতীয় সবজি, মরিচ, টমেটো, বেগুন। সে ক্ষেত্রে পলিথিনের ছাউনির নিচে, বারান্দা, সিঁড়িকোটার নিচে রাখা যেতে পারে। অতি বর্ষণের কারণে ছাদবাগানে আশ্রয় নিতে পারে পোকামাকড়। তাই ছাদবাগান সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং একটি টব থেকে আরেকটি টবের সামান্য হলেও দূরত্ব রাখতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাছে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অনেক গাছ আছে, যেগুলো অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। তাই সেসব গাছের টবে যাতে পানি না জমে, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। যে কোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার যেটায় পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনমতো ছিদ্র থাকে। ইদানীং বড় বড় ড্রাম ব্যবহার করা হয় এবং সেগুলোতে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিদ্র থাকে তা খেয়াল রাখা জরুরি। 

আবার অনেক গাছ আছে যেগুলোর পানি বেশি প্রয়োজন, সেগুলো এমন স্থানে রাখুন যাতে বৃষ্টির পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। অনেক সময় দেখা যায়, মাটির ওপর টব রাখা হলে বৃষ্টির কারণে পিঁপড়া বা কেঁচো সেখানে আশ্রয় নেয়। পরে টবে বা গাছের গোড়ায় স্থায়ী বাসা বানিয়ে আস্তে আস্তে গাছের ক্ষতি করে। তাই বৃষ্টির পরপরই এগুলো নির্মূলের ব্যবস্থা করতে হবে। 

এছাড়াও পোকামাকড় গাছের নতুন পাতার রস খেতে গাছে জড়ো হয়। তাই বর্ষার শুরু থেকেই কীটনাশকের ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে নিমের তেল, গোলমরিচ গুঁড়া, শুকনো মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, রসুন, ছাই ব্যবহার করতে পারেন। এতেও কাজ না হলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

বৃষ্টির পানি জমে মশার জন্য এক নতুন আবাসভূমি তৈরি করে। তাই টবে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। আবার অনেক গাছেরই রোদের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য ছোট টবগুলো সামান্য রোদ উঠলেই খোলা আকাশের নিচে এনে রাখা উচিত।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh