আয় না থাকলেও কর দিতে হবে ২ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩, ০৯:১৬ এএম

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

আগামী বাজেটে করযোগ্য আয় না থাকলেও ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। এই কর না দিলে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, নিম্নআয়ের মানুষকে করজালের মধ্যে আনার ছক রয়েছে এই বাজেটে। কারণ শূন্য আয় (করযোগ্য সীমার নিচে বার্ষিক আয়) দেখিয়ে আগে রিটার্ন জমা দেওয়া গেলেও আগামীতে স্লিপ (প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) পেতে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে।

আর রিটার্ন জমার স্লিপ না নিলে সঞ্চয়পত্র কিনতে ও ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে না। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস নবায়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়ির নকশা অনুমোদনসহ সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না।

তবে বাজেটে ধনীদের ওপর করের বোঝা কমানোর প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। এখন বিত্তশালীদের তিন কোটি টাকা বেশি সম্পদ বা একাধিক গাড়ি বা আট হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের গৃহসম্পত্তি থাকলে সারচার্জ বা সম্পদ কর দিতে হয়। এটি বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আগের হারেই কর দিতে হবে। এতে ধনীদের কম আয়কর দিতে হবে।

বাচ্চার কলম, গৃহিণীর অ্যালুমিনিয়াম বা প্লাস্টিকের ঘটিবাটি, টয়লেট টিস্যু-ফেসিয়াল টিস্যু, নিজের বা পরিবারের জন্য নতুন মোবাইল ফোন কেনা-সব খাতেই খরচ বাড়বে। ঘুরতে বা চিকিৎসা করাতে বিদেশ যেতে চাইলে বিমান টিকিটের সঙ্গে বাড়তি ভ্রমণ কর দিতে হবে। সুস্বাস্থ্যের জন্য খেজুর, কাজুবাদাম খান অনেকে- এ দুটি পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় দাম বাড়তে পারে। সবকিছু মিলিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বোঝা বাড়াবে আগামী বাজেট।  

স্বস্তির খবর হচ্ছে- ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হচ্ছে। ন্যূনতম কর আগের নিয়মেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার পাঁচ হাজার টাকা, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার করদাতাদের চার হাজার টাকা এবং সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্যান্য এলাকার করদাতাদের তিন হাজার টাকা দিতে হবে।

ব্যাংক ডিপিএসে (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) কর রেয়াতের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাংকে বেশি টাকা জমালে বেশি কর ছাড় পাওয়া যাবে। বর্তমানে ৬০ হাজার টাকা (মাসিক পাঁচ হাজার) ডিপিএসে কর রেয়াত পাওয়া যায়, এটি বাড়িয়ে এক লাখ ২০ হাজার (মাসিক ১০ হাজার) টাকা করা হচ্ছে। তবে শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কষ্ট বাড়াবে বাজেট। আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যেত, এ সুবিধা বাতিল করে শুধু আইপিওতে বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh