সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর বকেয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের আগে এর একটি বিহিতের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে অনুরোধ করেছেন বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

আজ সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রীর সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে নসরুল হামিদ বলেন, এমন না যে পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে না। সবার টাকা দেয়া হবে। আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। করোনার পরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যে কয়লা পাওয়া যেত ৬০ ডলারে গত বছর তা বেড়ে ৪০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ৬০ ডলার বেড়ে গিয়েছিল। তেলের দাম হয়েছিল লাগামহীন। সেসময়েও ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এসে নানা পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে।

ভর্তুকির ব্যাপারে তিনি বলেন, গণহারে ভর্তুকি না দিয়ে যেসব খাতে ভর্তুকি দরকার সরকার সেখানে ভর্তুকি দেবে। নির্বাচনের আগে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। আগামী বাজেটে এ খাতের ওপর কর হ্রাস করা যায় কিনা সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, অনেকেই বলেন চাইলেই ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সোলার থেকে পাওয়া সম্ভব। যারা এটা বলে তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য ৬ হাজার একর জমি দরকার। এক্ষেত্রে কৃষিজমি হলে চলবে না। লাগবে অনাবাদি জমি। সোলার নিয়ে সরকার কাজ করছে। ধীরে ধীরে সব হবে।

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপের মধ্যে আছি এ কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আবার আমরা বসেও নেই। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। বিশ্বের যেসব দেশ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তেল-গ্যাসের ব্যবসা করতে পেরেছে তারা বাদে বাকি সবাই চাপের মধ্যে আছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে গ্যাসের সম্ভাবনা নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভোলায় গ্যাসের বড় রকমের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু চাইলেও গণহারে খনন করা যায় না। এটা একদিকে ব্যয়বহুল, অন্যদিকে আমাদের কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতাও আছে।

বাংলাদেশে বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট, ট্রান্সমিশন সব ঠিক আছে, ঝামেলা হচ্ছে জ্বালানি সরবরাহে। এ সমস্যাও ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তিনটি লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি- জ্বালানিকে নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও সস্তা করে তোলা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh