দুর্ঘটনাস্থলে মোদী, একদিনের শোক ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

হেলিকপ্টারে করে ওড়িশার বালাসোরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বালাসোরের হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

দুর্ঘটনাস্থলে ক্যাবিনেট সচিব এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এসময় আহত এবং তাদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য প্রদানের নির্দেশ দেন তিনি। মৃতদের পরিবারের সদস্যরা যাতে  কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেই নির্দেশও  দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

এসময় দুর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মোদি। এর আগে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেন মোদি।

দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। এদিকে এ ঘটনায় উড়িষ্যায় একদিনের শোক ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। 

এদিকে নবান্ন জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ওড়িশার রেল দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ৫৪৪ জন আহত হয়েছেন। আর হাসপাতালে ভর্তি পশ্চিমবঙ্গের ২৫ জন। অপরদিকে শ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি ১১ জন।

এর আগে দুর্ঘটনাস্থলে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও। এসময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও সেখানে ছিলেন। তবে তিনি এখনও উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। 

এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও রেলমন্ত্রীর মধ্যে সামান্য মতানৈক্য দেখা দেয়। মমতা বলেন, দুর্ঘটনার পেছনে কিছু ত্রুটি ছিল। এটি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচি। 

তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে, মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। উদ্ধার অভিযান এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।

এসময় মমতার কথার জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ২৩৮-এ দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে যেসব সেনাঘাঁটি রয়েছে, সেখান থেকে সেনাদের যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেন তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে।

এএফপি জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান, আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভারতের সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড থেকে সেনা মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং দল, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি মোতায়েন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহানাগা বাজার এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা। কলকাতার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ও একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এপি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh