বাসায় পোকা মারার কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

বিষক্রিয়ায় মৃত জাহিন ও জায়ান। ছবি: সংগৃহীত

বিষক্রিয়ায় মৃত জাহিন ও জায়ান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় পোকামাকড় মারার জন্য পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগের পর এর বিষক্রিয়ায় শিশু-কিশোর দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার (৫ জুন) দুপুরে দুই শিশুর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান। 

নিহতরা হলেন- শায়েন মোবারত জাহিন (১৫) ও শাহিল মোবারত জায়ান (৯)। তারা দুজনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় তাদের বোন, মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেন বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

ওসি মো.আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষার ঢাকা উত্তরা রয়েল ক্লাবের সাবেক সভাপতি। পোকামাকড় নিধনের জন্য তার বাসায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করা হয়েছিল, যা থেকে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় পরিবারটি হৃদয়বিদারক ঘটনার শিকার হয়েছে।

পুলিশ ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বসুন্ধরা আই বক্লের নতুন বাসায় স্প্রে পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা এসে কীটনাশক দিয়ে যান। এর ৯ ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা বাসায় প্রবেশ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে শাহিল মোবারত জায়ান মারা যান। শিশুটির দাফন শেষ করে আসতে না আসতেই রবিবার রাত ১০টায় বড় ছেলে শায়েন মোবারত জাহিনও মারা যান।

নিহতের খালা ডা. রওনক জাহান রোজি অভিযোগ করে বলেন, পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের অদক্ষ কর্মীদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সঠিক উত্তর পাইনি।

এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  আসাদুজ্জামান বলেন, দুই শিশু বিষক্রিয়াজনিত কারণে মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৫ বছরের ছেলেটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh