হিট স্ট্রোক হলে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০২:০৩ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

গ্রীষ্মের দাবদাহে সবারই হাঁসফাঁস অবস্থা। রোদে যেন গা পুড়ে যায়। গরমে ঘাম হয়, বাড়ে অস্বস্তি। এ সময়েই সাধারণত হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। যে কোনো বয়সের মানুষই হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স্করা, যাদের বয়স সত্তরের ওপর তাদের এই ঝুঁকি বেশি।

হিট স্ট্রোক কী? এই প্রসঙ্গে মায়ো ক্লিনিক জানাচ্ছে, গ্রীষ্মে অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত কারণে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে ডা. মেহেদি হাসান বলেন, উচ্চ তাপমাত্রা অথবা গরমে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের কারণে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

হিট স্ট্রোক হলে সাধারণত শরীরে ঘাম থাকে না এবং শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, না হলে বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হওয়া, এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জায়গায় নিতে হবে এবং যে কোনো উপায়ে রোগীর শরীর ঠান্ডা করতে হবে। 

তাই এই অসুখের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কৌশল জেনে নেওয়া দরকার। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে যে উপসর্গ দেখা যায়-শরীরের তাপমাত্রা খুবই বেড়ে যায়। এই সময় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে, খিঁচুনি ও বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও হার্টরেট বেড়ে যায়, মাথাব্যথা হয় ও আক্রান্ত ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঘরে নিয়ে গিয়ে বসান। এসি বা পাখা চালিয়ে দিন। তার জামাকাপড় যতটা সম্ভব খুলে দিতে হবে। চোখে-মুখে-ঘাড়ে ঠান্ডা পানি দিতে হবে। তাকে পানি পান করাতে পারেন। এতেই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমবে। রোগী একটু স্থিত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh