‘তিন মন্ত্রীকে বন্দুকের ট্রিগারে হাত রাখতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীকে সবসময় বন্দুকের ট্রিগারে হাত রাখতে হবে।

বুধবার (৭ জুন) অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কলকাতা ও আগরতলা বাজার আর বাংলাদেশের বাজারের মধ্যে পণ্যমূল্যে এত তফাৎ হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের বাজারে কোথাও কোনো সমস্যা আছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ছে দেখে বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে না এলে আমদানির অনুমোদন দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর দাম কিছুটা কমল। 

এম এ মানান বলেন, যখন ব্যবসায়ীরা দেখল সরকার কিছু করছে না, তখন দাম আবার বেড়ে গেল। এখন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, দামও কমছে। এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীকে সবসময় ট্রিগারে হাত রাখতে হবে। যাতে কেউ যখন অস্বাভাবিক কিছু করবে তখন গুলি ছোড়া যায়।

তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মজুত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মতামত দিয়েছেন। চালে মজুদ তৈরি করার ফলে এখন বাজার স্বাভাবিক। অন্যান্য পণ্যেও সেটা দরকার।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য বাস্তবসম্মত হয়নি। তবে এটা পরের বছর সম্ভব হতে পারে। সরকার ভর্তুকি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কৃষি ও খাদ্যে ভর্তুকি রাখা হবে।

বর্তমান সরকারের বৈষম্য কমানোর বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ রয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে নিজস্ব ঠিকানা তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। সেখানে আয়ের সুযোগের পাশাপাশি সুপেয় পানি, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা পাচ্ছে তারা।

বেসরকারি ট্যাক্স এজেন্ট সিস্টেম একবারে চালু না করে বিভাগীয় জেলায় পাইলটিং করে শুরু করার পরামর্শ দেন এম এ মান্নান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh