মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন সিরাজুল আলম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১০:০৭ এএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ১০:৩০ এএম

সিরাজুল আলম খান। ফাইল ছবি

সিরাজুল আলম খান। ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলীপুরে মায়ের কবরের পাশে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সেই প্রস্তুতি চলছে।

গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী ও জেএসডির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মন্টু।

তিনি বলেন, সিরাজুল আলম খান তার শেষ ইচ্ছার কথা সবাইকে আগে থেকেই জানিয়ে গেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না। শহীদ মিনারে ডিসপ্লে হবে না লাশ। যত দ্রুত সম্ভব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে মরদেহ, যা ঢাকা থাকবে একটা কাঠের কফিনে।’

নিহতের পরিবারিক সূত্র জানায়, শনিবার (১০ জুন) দুপুরের পর তার মরদেহ ঢাকা থেকে নোয়াখালী নেওয়া হবে। বিকেলে চৌমুহনী পাইলট স্কুল মাঠে জানাজা শেষে চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুরে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

এর আগে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সিরাজুল আলম খান। গত ১ জুন তাকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সিরাজুল আলম খান ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৬ দফা দাবির সমর্থনে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

সিরাজুল আলম খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে তার মতভেদ তৈরি হয় এবং তিনি ছাত্রলীগ থেকে সরে যান। পরবর্তীকালে তার অগ্রণী ভূমিকায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। তবে দলটির নেতৃত্বে না আসলেও তার দিকনির্দেশনায়ই স্বাধীনতার পর জাসদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা হতো।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh