ইউরোপ সেরার খেতাব জিতলেন ম্যানসিটি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ১০:৫৩ এএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৩, ১০:৫৪ এএম

ম্যানসিটি দল। ছবি: সংগৃহীত

ম্যানসিটি দল। ছবি: সংগৃহীত

এবার ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার খেতাব অর্জনের সাথে ‘ট্রেবল’ জয়ের স্বাদ পেল সিটিজেনরা। গতকাল শনিবার (১০ জুন) রাতে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রদ্রির একমাত্র গোলে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে ম্যানসিটি।

এর আগে চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপাও জিতেছিল ম্যানসিটি। 

এমন ঐতিহাসিক অর্জনের দিনে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন সিটি বস পেপ গার্দিওলা। ইউরোপের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জেতা প্রথম ম্যানেজার হিসেবে নিজের নাম খোদাই করলেন এই কিংবদন্তি।

ফাইনালে সিটির তুলনায় শক্তিমত্তায় ইন্টারকে পিছিয়ে রেখেছিলেন অনেকেই। আতাতুর্ক স্টেডিয়ামের প্রথমার্ধে সিটিকে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়নি ইন্টার। প্রেসিং ফুটবলের দুর্দান্ত প্রদর্শনী উপহার দেয়। সিটির আক্রমণগুলো ডি-বক্সে আসার আগেই রুখে দিতে থাকে তারা। যদিও আর্লিং হালান্ড গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়েছিল ইন্টারও। কিন্তু ভাগ্যের চাকা খোলেনি তাদের। সব ছাপিয়ে প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় ঘটনা ডি ব্রুইনার ইনজুরি।

দুই বছর আগের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে ঠিক এভাবেই চোটের কারণে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সেবারের হৃদয় ভাঙার গল্পটা একটু হলেও নাড়া দিচ্ছিল সিটিকে। তাদের ভয়টা আরও বেড়ে যায় ম্যাচের ৫৯ মিনিটে। একটি ব্যাকপাস নিজে নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে এডেরসনের উদ্দেশে ছেড়ে দেন আকেঞ্জি। কিন্তু এডেরসন তখনো গোলবারের নিচে। ফাঁকায় বল পেয়ে সুবর্ণ সুযোগ পান ইন্টারের লাওতারো মার্তিনেস। ডাগআউট ছেড়ে আসা গার্দিওলা তখন হাঁটু গেড়ে মাটিতে নুয়ে পড়েন। কিন্তু মার্তিনেসের শট এডেরসন ঠেকিয়ে দিতেই প্রাণ ফিরে ফেলেন তিনি।

এর ৯ মিনিট পরই সিটির সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। বাইলাইনের খানিকটা আগে থেকে পুল ব্যাক করেন বের্নার্দো সিলভা। কিন্তু তা এক ইন্টার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে যায় বক্সের বাইরে। তাতে অবশ্য ভালোই সিটির জন্য। কেননা তখন অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন রদ্রি। দৌড়ে এসে ডান প্রান্তে বুলেট গতির এক শট নেন এই মিডফিল্ডার। তা ইন্টারের দুই ফুটবলারকে পাশ কাটিয়ে সোজা আঘাত হানে জালে। ইন্টার গোলকিপারের তখন চেয়ে  থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

রদ্রির কাজটুকুর পর দায়িত্বটা যেন আরও বেড়ে গিয়েছিল এডেরসনের জন্য। যে করেই হোক গোলবার অক্ষত রাখতে হবে তাকে। বাকি প্রায় ৩৫ মিনিট একের পর এক পরীক্ষা দেন তিনি। একটিতেও ব্যর্থ হননি। ইন্টারের সুবর্ণ সুযোগগুলো একে একে নষ্ট করে দিতে থাকেন এই গোলকিপার। ৮৮ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর হেড দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন তিনি।

সমতায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে থাকা ইন্টার কর্নার পায় ম্যাচের শেষ মিনিটে। দিমাক্রোর নেওয়া সেই শট পোস্টের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু তা ঠেকিয়ে দেন এডেরসন। ঠিক এর পরেই বেঁজে উঠে রেফারির শেষ বাশি। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠেন সিটি ফুটবলাররা। স্বাদ পেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম শিরোপার। একইসঙ্গে ট্রেবলেরও। ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যেই কীর্তি প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে গড়েছিল।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh