যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে লালার মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি টেস্ট

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

গর্ভধারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে ঘরোয়া পরীক্ষা (প্রেগন্যান্সি টেস্ট) পদ্ধতি এতদিন চালু ছিল, তার একটি পরিবর্তিত সংস্করণ রীতিমতো সাড়া ফেলেছে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে। ব্রিটিশ দৈনিক মেট্রোর প্রতিবেদন বলছে, ব্রিটিশ ও আইরিশ নারীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই প্রেগন্যান্সি টেস্ট।

গর্ভধারণ সম্পর্কে প্রচলিত ঘরোয়া পরীক্ষায় নারীদের মূত্রের (ইউরিন) নমুনা ব্যবহার করা হতো। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতিতে মূত্র নয়, নারীর লালা যাচাইয়ের মাধ্যমেই বলা সম্ভব— তিনি গর্ভবতী কি না।

এই পরীক্ষা পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে স্যালিস্টিক প্রেগন্যান্সি টেস্ট। প্রচলিত প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা সংক্রান্ত কিটের মতো যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রায় সব ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এই প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার কিট।

ইসরায়েলের জেরুজালেমভিত্তিক মেডিকেল সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি স্যালিগনোস্টিক্স নতুন এই কিটটি বাজারে এনেছে। কোম্পানির কর্মকর্তারা বলেছেন, এর আগে করোনা মহামারির সময় যে প্রযুক্তিতে কোভিড টেস্টিং কিট প্রস্তুত করে বাজারজাত করেছিল স্যালিগনোস্টিক্স; নতুন প্রেগন্যান্সি টেস্টও সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

ইউরিনভিত্তিক প্রেগন্যান্সি একটি বড় সমস্যা ছিল— সহজে ঘরোয়াভাবে এই পরীক্ষা করা গেলেও এটি করতে ওয়াশরুমে যেতে হতো নারীদের; কিন্তু স্যালিস্টিক প্রেগন্যান্সি টেস্টে যেহেতু নমুনা হিসেবে ব্যবহৃত হয় মুখের লালা— তাই নারীরা যেকোনো সময়, যে কোনো স্থানে এই পরীক্ষা করতে পারেন।

কারণ এই গর্ভধারণ পরীক্ষাটি অনেকটা মুখে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরিমাপের মতো। টেস্টিং কিটে থার্মোমিটারের মতোই একটি নলাকৃতির অংশ রয়েছে ফোমে মোড়ানো। সেটি থার্মোমিটারের মতোই কিছুক্ষণ মুখে রাখতে হয়। এ সময় মুখ থেকে যে লালা নিঃসৃত হয়— তা জমা হয় ফোমে।

তারপর সেই ফোমটি একটি প্লাস্টিকের টিউবে স্থানান্তর করতে হয়। সেই টিউবেই বায়োক্যামিকেল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পর ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রদর্শিত হয়— ওই নারী গর্ভবতী কি না।

কোনো নারী গর্ভধারণ করলে তার দেহে এইচসিজি নামের একধরনের হরমোনের নিঃসরণ ঘটে এবং তা মিশে থাকে মুখের লালা বা থুতুতে। হরমোনের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই পরীক্ষার ফলাফল জানায় স্যালিস্টিক প্রেগন্যান্সি কিট।

ইসরায়েল ভিত্তিক দৈনিক টাইমস অব ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের ওষুধের বাজারে প্রবেশের অনুমোদন পেয়েছে গর্ভধারণ পরীক্ষা সংক্রান্ত এই কিটটি।   

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh