নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির প্রধান আসামি আবদুল হাই বাচ্চু। ছবি: সংগৃহীত
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির প্রধান আসামি আবদুল হাই বাচ্চুর বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তিনি দেশেই আছেন নিশ্চিত হয়ে দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কয়েক দিন আগে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
বুধবার (২১ জুন) দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি আবদুল হাই বাচ্চু দেশেই আছেন। তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন এবং তাকে যাতে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় এবং বিচারের মুখোমুখি করতে পারি সেজন্য তার বিদেশ যাত্রা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি দিয়েছে দুদক। তবে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা এখন আদালত থেকে দেওয়া হয়। তাই দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২১ জুন) আদালত বাচ্চুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
গত ১২ জুন বেসিক ব্যাংকের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক।
সংস্থাটির দায়ের করা মোট ৫৯ মামলার চার্জশিটের মধ্যে ৫৮টি মামলার তদন্তে নতুন আসামি হিসেবে আলোচিত আবদুল হাই বাচ্চু ও কোম্পানি সচিব শাহ আলম ভূঁইয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অথচ ২০১৫ সালে দায়ের করা কোনো মামলাতেই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। যে কারণে দুদককে বারবার বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। মামলার দীর্ঘ ৮ বছর পর চার্জশিটে আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংক ৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাই নিয়ম ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে। ফলে ২০১৪ সালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ করা হয়। সে বছরের ২৯ মে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিছুদিন পর ৪ জুলাই শেখ আবদুল হাই বাচ্চু পদত্যাগপত্র জমা দেন।