৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩, ০২:৩৫ পিএম

কোরবানির গরু। ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির গরু। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জের দেওয়ানটুলি এলাকায় জমজম ক্যাটল ফার্ম নামে আব্দুল মতিন আজিজের গরুর খামারে ওজনে বেচাকেনা হচ্ছে কোরবানির পশু। ৪৫০ টাকা কেজি দরে খামারেই বিক্রি করা হচ্ছে এসব গরু। গত দুই বছর ধরে এই পদ্ধতিতে গরু বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এই খামারি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সরজমিনে খামার ঘুরে এই তথ্য জানা যায়। খামারি আব্দুল মতিন আজিজ বলেন, প্রায় প্রতিদিনই খামারে আগ্রহী ক্রেতারা আসছেন এবং গরু দেখছেন। পছন্দ হলে ওজন স্কেলে উঠিয়ে পরিমাণ দেখে খামারেই গরু রেখে যাচ্ছেন। ঈদুল আজহার একদিন বা দুইদিন আগে গরু নিয়ে যাবেন। আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য ১২০টি গুরু প্রস্তুত করা হয়েছে এই খামারে। ওজনে গরু বেচাকেনায় ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

ক্রেতারা বলছেন, ঝক্কি-ঝামেলা মুক্ত এবং ফ্রেশ গরু কিনতেই ছুটছেন এমন খামারে। তারা বলছেন, ওজন স্কেলে গরু বেচাকেনায় সুবিধা অনেক। ওজন স্কেলে গরু মেপে বেচাকেনার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ঠকে যাওয়ার চিন্তা নেই। বাজেট অনুযায়ী সুস্থ-সবল পশু কিনতে পারছেন তারা।

খামারি মতিন জানান, হাট থেকে গরু কিনতে গেলে ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, দূরদূরান্ত থেকে আসা গরুকে স্টেরয়েড বা মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে কিনা এটা গরু দেখে বোঝার উপায় নেই। তাই ক্রেতারা দেখে-শুনে গরু নিতে আসছেন খামারে।

এই পদ্ধতিতে গরু কিনে কোরবানি করা যাবে কিনা এ নিয়ে অনেকের মনে নানাবিধ প্রশ্ন রয়েছে। যদিও খামার মালিক আব্দুল মতিন আজিজের দাবি তারা ইসলামি শরিয়াহ অনুসরণ করে গরু বিক্রি করছেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে এ বিভাগের আট জেলায় দেড় লাখের বেশি খামারি প্রায় পাঁচ লাখ গরু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া দুই লাখ গৃহস্থ প্রায় ৯ লাখ গরু ও খাসি বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরি করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh