ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা মাংসে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম | আপডেট: ২৩ জুন ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আ.লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আ.লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

নুন-ভাত, ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা এখন মাংসে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (২৩ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় এ দেশের মানুষের নুন-ভাত জুটাতে কষ্ট হতো। তারা একটু নুন-ভাত চাইতো। তারপরে এলো ডাল-ভাত। অন্তত মানুষকে আমরা এমন পর্যায়ে আনতে পেরেছি, এখন নুন-ভাত, ডাল-ভাত নয়; মাংস পাচ্ছে না সেটা নিয়ে কথা আসছে। অন্তত নুন-ভাত, ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা তো মাংসতে উঠেছে।

তিনি বলেন, আমি জানি, মাংসের দাম বেড়েছে। কিন্তু মানুষের মাংস-ভাত খাওয়ার যোগ্যতা বা সেই সামর্থ্য সেটা তো স্বীকার করতে হবে। অন্তত এই জায়গায় আনতে পেরেছি। চাহিদা তো বাড়াতে পেরেছি। বাড়াতে যেহেতু পেরেছি পূর্ণ করতে পারব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু কোভিডের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসে। চলাচল বন্ধ, সেই মন্দার আঘাত আমাদের উপরেও আসে। সেখান থেকে আমরা যখন কিছুটা উত্তরণ ঘটাচ্ছি তখনই এলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। শুধু আমাদের দেশ নয় বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য ঘাটতি।

সরকার জনগণের সেবক-উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। জনগণের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকব, সেই বাপের মেয়ে আমি না। ৭৫-র পর থেকে নির্বাচনে কারচুপির সংস্কৃতি তৈরি হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সম্পদ বেচবে, লুটপাট করবে, এটা এই দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির কারণে জনগণ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জনগণ। ২০০৭ সালেও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ভোট চুরির ষড়যন্ত্র করছিল। এজন্য জনগণ দ্বারা বিতাড়িত হয়।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির পিতা বাঙালির মুক্তির ছয় দফা দেন। ছয় দফার ভিত্তিতে ৭০ এর নির্বাচন হয়। গোটা পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নেয়, যুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করি। বাঙালি জাতির বিজয় জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদা পায়। এই সংগঠন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মর্যাদা এনে দেয়। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ তিনি গড়ে দিয়ে যান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালি শিক্ষা-দীক্ষা সবদিক থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিদের চেয়ে অগ্রগামী ছিলাম। সবসময় আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো। ৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জয়লাভ করে। কিন্তু বেশিদিন প্রাদেশিক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। যে অল্প কয়েকদিন ক্ষমতায় ছিল সে সময়ের মধ্যে শেরা বাংলা যে সরকার গঠন করেছিলেন তার মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একজন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য বেগম আক্তার জাহান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh