খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম | আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম
খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা। ছবি: খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রুগুলোতে এবার আশানুরূপ পর্যটক সমাগম হয়নি। তীব্র গরমের কারণে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গত দুই মাস ধরে পর্যটন সমাগম নেই বললেই চলে। তবে ঈদের বন্ধে পর্যটক সমাগম বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি। তাই অনেকটায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। পর্যটন কেন্দ্রগুলো স্থানীয়দের ভিড় দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেলে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলায় ঈদের দ্বিতীয় দিনে পর্যটক সমাগম কিছুটা বেড়েছে। বর্ষায় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটক রিফাত শাহরিয়ার জানান, ‘বর্ষায় পাহাড় সবুজ থাকে। আমরা সাজেক ঘুরে খাগড়াছড়ি আসলাম। এখানে রিছাং ঝরনা, আলুটিলায় ঘুরেছি। খুব ভালো লেগেছে। আগামীকালও এখানে বেড়াব।’
ঢাকার মিরপুর থেকে বেড়াতে আসা আফরোফা জানান, ‘দুই মাস আগে থেকে খাগড়াছড়ি সাজেক ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছি। অবশেষে এখানে আসার সুযোগ হল। কখনো রৌদ কখনো বৃষ্টি- এমন সৌন্দর্য কেবল বর্ষাকালেই দেখা যায়। ঈদের ছুটিটা বেশ ভালো কাটিয়েছি। আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ ঢুকে খুবই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেয়েছি।’
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ছাড়া রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্কে পর্যটকদের সমাগম দেখা গেছে। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, ‘ঈদের প্রথম দিনে দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে। দ্বিতীয় দিনে পর্যটক সমাগম কিছুটা বেড়েছে। তবে গত ঈদ মৌসুমের তুলনায় এবার পর্যটক সংখ্যা কমে গেছে।’
খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা জানান, ‘গত ঈদ মৌসুমের তুলনায় এবার পর্যটক সমাগম কমেছে। গতবার হোটেলে কোন কক্ষই খালি ছিল না। অনেক অতিথিকে কক্ষ ভাড়াও দিতে পারিনি। এবার হোটেলের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। হোটেলের প্রতিটি কক্ষে ২০ শতাংশ করে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
টুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ি ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, ‘ঈদ কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দুই স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি টহল টিমও কাজ করবে।’
নিরাপত্তার কোন সংকট নেই বলে জানান তিনি। টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তা দিচ্ছে।