ফ্রান্সের মেয়রের বাড়িতে হামলা, স্ত্রী - সন্তান আহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম

ফ্রান্সের চলমান বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।  ছবি: সিএনএন

ফ্রান্সের চলমান বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছবি: সিএনএন

ফ্রান্সের চলমান বিক্ষোভ যেন কোনোভাবেই থামছে না। বরং দিন যত গড়াচ্ছে বিক্ষোভ পরিণত হয়েছে সহিংসতায়। এদিকে টানা পঞ্চম রাতের মতো দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। 

আজ রোববার (২ জুলাই) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে মার্সেই শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। 

আর দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাতজুড়ে হামলাকারীরা প্যারিসের শহরতলির লহায়া-লেস-রোজেসের মেয়রের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় এ হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সে সময় মেয়র ভিনসেন্ট জিনব্রুন তার অফিসে ছিলেন।

তবে এ সময় মেয়রের স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন।

জানা যায়, অজ্ঞাত হামলাকারীরা তাদের বাড়ির গেট দিয়ে গাড়িতে করে হামলা চালানোর সময় গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। 

হামলার বিষয়ে মেয়র বলেন, হামলায় আমার স্ত্রী ও সন্তান আহত হয়েছেন। আমি বাক্রুদ্ধ  হয়ে পড়েছি এমন সহিংস হামলায়। কীভাবে এটির ব্যাখ্যা দিব বুঝতে পারছি না। 

এদিকে বিবিসি বলছে, জিনব্রুনের স্ত্রী ও সন্তানেরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ওপর আতশবাজি দিয়ে হামলা চালানোর ফলে মেয়রের এক সন্তান আহত হয়েছেন। 

এ ঘটনাকে জিনব্রুন হত্যাচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরইমধ্যে দেশটির পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

এর আগে, আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল মেরজুকের মৃত্যুর পর থেকেই গত মঙ্গলবার ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। 

তার মা মৌনিয়া ফ্রান্স ৫ টেলিভিশনকে শুক্রবার বলেন, আমি যে পুলিশ অফিসার আমার ছেলেকে গুলি করেছে তাকেই অভিযুক্ত করছি। আমি তার বিচার চাই। 

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, শনিবার রাতেই অন্তত ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ছাড়া চলমান সহিংসতা শনিবারেই ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত চার দিনে অন্তত ২ হাজার ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় ১ হাজার ৩১১ জনকে।

এদিকে ফ্রান্সের বিচার মন্ত্রী বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরই বয়স ১৮ বছরের কম। 

সহিংসতার সময় দেশটিতে পুলিশের ৪৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও ৭৪ টি ভবন ও ৫৭৭ টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ বিভাগ। 

সূত্র: সিএনএন , বিবিসি 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh