আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ। ছবি: বিবিসি
যুক্তরাজ্যে নিজেদের মর্যাদা পরিবর্তনের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার মাধ্যমে এবারে নরওয়ের স্ব-শাসিত ভূখণ্ড হয়ে যেতে পারে স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ, যে দ্বীপটি একসময় নরওয়ের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর এটি হতে যাচ্ছে নতুন এক প্রস্তাবের আওতায়। এর আগে, ১৪৭২ সালে স্কটল্যান্ডের অংশ হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ ছিল নরওয়ে এবং ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে।
আর এই হিসেবে মঙ্গলবার (৩জুন) অর্কনি দ্বীপ কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পরিষদে যাবে নতুন প্রস্তাব। সেখানেই ‘বিকল্প ধারার শাসন পরিচালনার’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে অর্কনি পরিষদের নেতা জেমস স্টোকান বলেছেন, যুক্তরাজ্য বর্তমানে অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের জন্য তহবিল ঠিকমত যোগান দিতে না পারায় এ মুহূর্তে দ্বীপটিকে সত্যিই সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
তবে অর্কনি দ্বীপ চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ ও বৈদেশিক অঞ্চলে থাকা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো শাসনব্যবস্থার অধীনে থাকবে নাকি ডেনমার্কের ভূখন্ডে স্ব-শাসিত ফ্যারো দ্বীপের মতোই এটি থাকবে কিনা সে বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।
বিবিসি রেডিও স্কটল্যান্ডকে তিনি বলেন, অর্কনিতে বহু ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্য এবং স্কটল্যান্ড সরকার উভয় পক্ষই মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যান্য অঞ্চল যে সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, অর্কনি তা পাচ্ছে না।
বিভিন্ন পরিষেবা চালু রাখতে অর্কনি-কে স্কটিশ সরকার যে তহবিল দিয়ে আসছে তা একই পরিষেবার জন্য শিটল্যান্ড এবং পশ্চিমের দ্বীপগুলোর পাওয়া তহবিলের চেয়ে মাথাপিছু যথেষ্ট কম।
স্টোকান আরও বলেন, অর্কনির আর্থিক অবস্থা নিয়ে নিবিড় গবেষণা কখনও চালানো হয়নি এর আগে। অথচ নর্থ সী তেল প্রকল্পের মাধ্যমে এই দ্বীপপুঞ্জ ৪০ বছর যাবত দেশে অবদান রেখে চলেছে। তা স্বত্বেও চলার মত অর্থ নেই তাদের।
আর আতি তাই অর্কনির জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার নতুন পথ খোঁজার চিন্তাভাবনাও রয়েছে স্টোকানের বলে জানান তিনি। তার এ চিন্তাকে সমর্থন করতে অর্কনি পরিষদের জনপ্রতিনিধিদেরকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালে অর্কনি দ্বীপপুঞ্জ পরিষদ বৃহত্তর স্বায়ত্ত্বশাসন প্রশ্নে ভোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তখন তারা কেবল ‘জোরাল কন্ঠের’ জন্য এ পদক্ষেপ নিলেও এটির পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেনি।
অর্কনি পরিষদের নেতা স্টোকান আরও বলেন, আমরা যতদিন না যুক্তরাজ্যের অংশ থেকেছি, তার চেয়েও বেশি সময় নর্স কিংডোমের (ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন) অংশ হিসেবেই থেকেছি। অর্কনির মানুষ এসে জিজ্ঞেস করে আমরা কখন নরওয়েতে ফেরত যাচ্ছি।
দু’য়ের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধন ও গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকায় কোন কাজটি করা সম্ভব সেটি খুঁজে বের করার এখনই উপযুক্ত সময় বলেও দাবি করেন তিনি।
সুত্র: বিবিসি