পুঠিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩, ০১:২৪ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতার অফিস ভাংচুর। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগের এক অংশের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদের দলীয় কার্যালয়সহ তার ভাই নিয়ামুল হক জুয়েলের সিটি ব্যাংকের এজেন্ট অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বিক্ষোভকারীরা এজেন্ট ব্যাংকের ১৮ লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা সদরের আড়ানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারার অনুসারিরা শান্তিকামী সচেতন পুঠিয়া উপজেলাবাসীর নামে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। পরে বিক্ষোভ সমাবেশের লোকজন এসে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সিটি ব্যাংকের এজেন্ট অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার নির্দেশে ও জেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা আমার ব্যক্তিগত দপ্তর ও আমার ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংকের এজেন্ট অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এতে হামলাকারীরা এজেন্ট অফিসের নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। সেই সাথে আমার দপ্তরে প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন অবকাঠামো ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে জেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম এহিয়ার ছেলে ও ঝলমলিয়া হাট ইজারদার নাজমুল ইসলাম সুমনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার হয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ব্যাংক এজেন্টে ভাংচুর ও লুটপাট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু লোকজন সেখানে গিয়েছিল। আমরা তাদের ফেরত এনেছি। তবে কোনো লুটপাট বা ভাংচুর করা হয়নি।
তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। আর বিক্ষোভ সমাবেশ বা ভাংচুর লুটপাটের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ব্যাংক এজেন্ট পয়েন্টে ভাংচুরের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সেখানে কিছু ভাংচুর হলেও লুটপাটের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ এলে তা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।