নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১১:২৭ পিএম
প্রতীকী ছবি।
গত ৭ জুলাই সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ বাংলাদেশির নাগরিক তথ্য ফাঁস হয়েছে। এমন খবরে মুহূর্তেই সরগরম হয়ে ওঠে দেশ। অভিযোগ উঠে, গুগলে সার্চ করলেই যে কেউ ওয়েবসাইটিতে ঢুকে নাগরিকের নাম, জন্মতারিখ ও এনআইডি নম্বর দেখতে পারছেন।
সম্প্রতি এটি দেখতে পান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস। বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কম্পিউটার নিরাপত্তা সমাধান সংস্থা। তার বরাতে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চ। এরপর সংবাদমাধ্যমে খবর এলে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরই মধ্যে তারা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়িত্বরতদের উদাসীনতা ও কারিগরি দুর্বলতার কারণে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ জুলাই) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তাদের টেকনিক্যাল টিমের সাথে তদন্ত পর্যালোচনা এবং অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়, যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকায় তাদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো যথাযথভাবে তদারকির অভাব পরিলক্ষিত হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচটি সুপারিশসহ ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা এড়াতে আরও ছয়টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।