চ্যাটজিপিটি প্রতি চ্যাটে আধা লিটার পানি খরচ, শঙ্কিত পরিবেশবিদরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আলোচিত প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটিতে মজেছে তরুণ প্রজন্ম। ২০২২ সালে  সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু এর। তারপর থেকে একের পর এক দেশে শুরু পরিষেবা। কিন্তু, একই সাথে বিস্ময় ও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, প্রতি চ্যাটে আধা লিটার পানি খরচ করে এই চ্যাটবট।

চাকরি ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির প্রভাব নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমে মানুষের জায়গা দখল করবে এটি। কিন্তু এআই টুলের প্রভাবে যে পরিবেশের কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা অনেকের কাছেই অজানা। ইতিমধ্যে পানি সংকটে ভুগতে শুরু করেছে বহু দেশ।

যেখানে এক গ্লাস পানির জন্য  হাহাকার করতে হচ্ছে, সেখানে প্রতি কথোপকথনে ৫০০ মিলিলিটার পানি খরচ করছে চ্যাটজিপিটি। তাহলে ভাবুন, প্রতিদিন কিংবা প্রতি মিনিটে কত পানি খরচ হচ্ছে। কারণ বিশ্বের একাধিক দেশের মানুষ বিভিন্ন কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন।

চ্যাটজিপিটির এই তেষ্টা শুনে কার্যত অবাক পরিবেশবিদরা। চ্যাটজিপিটি ট্রেনিংয়ের পিছনে যে শক্তি খরচ হয় তা জানতে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়। 'মেকিং এআই লেস থার্স্টি’ নামে একটি পেপারে প্রকাশ করা হয় সেই তথ্য।

এই গবেষণায় দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট স্টেট অব দ্য আর্ট ডেটা সেন্টারে চ্যাটজিপিটি ট্রেনিংয়ের পেছনে ৭ লাখ লিটার পানি খরচ হয়। এবং এই সংখ্যা এশিয়ার ডেটা সেন্টারগুলোতে তিনগুণ বেশি।

চ্যাটজিপিটির কারণে কেন এত পানি খরচ হয়?

চ্যাটজিপিটি সাধারণত একটি এআই টুল। যাকে একাধিক বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়। আর তা করার জন্য গড়ে উঠেছে বড় বড় ডেটা সেন্টার। যেখানে এআই মডেলগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এই ডেটা সেন্টারগুলোর সার্ভার পরিচালনা করার জন্য দরকার পড়ে বিপুল শক্তি।

আর এসব করার জন্য পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম এবং শক্তি নির্ভর কম্পিউটিং ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে। এগুলো চালু রাখতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তা উৎপাদন করা হয় পানির মাধ্যমে। কারণ উচ্চ শক্তি এবং পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম না থাকলে হার্ডওয়্যারগুলো সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh