অর্পিতা দেবী
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৭ এএম
শীতের সময় দেশজুড়ে খেজুরের রসের দেখা পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্রামবাংলার খাদ্যরসিকদের কাছে একসময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যে শীতের বিভিন্ন পিঠা–পুলি–পায়েসসহ গুড়, চিনি ইত্যাদি খেজুর রস থেকেই প্রস্তত করা হতো। এককথায় খেজুর রস মানে পিঠা তৈরির মহোৎসব।
মাত্র কয়েকবছর আগেও শহরের জনপদে ভোর বেলায় গাছ থেকে সংগৃহীত টাটকা খেজুর রস টিনের ভার নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যেত। অথচ চলতিবছর ১৫%-২০% পুষ্টি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খেজুর রসের দেখা মেলাই ছিল ভার।
হাজার বছরের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস আজ বিলুপ্তির পথে। বলা যায় খেজুর রস আজ সোনার হরিণ। খেজুর গাছের বিলুপ্তির কারণে শীতের সৌন্দর্যও হারিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে দিনদিন শীতের আমেজ ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠাসহ খেজুর রসের সুগন্ধীযুক্ত পায়েসও হারিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি–বেসরকারি উদ্যোগে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও ঐতিহ্যের কথা বিবেচনায় এনে পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কীভাবে খেজুর গাছ রোপণ করে গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে বাঙালির এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেটি বিবেচনায় আনার সময় হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি বিবেচনার আবেদন জানাচ্ছি।
অর্পিতা দেবী
শান্তিবাগ, ঢাকা।