রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় দণ্ড মওকুফ এসিল্যান্ডের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫০ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১১:১১ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কোনো কারণ ছাড়া এক প্রতিষ্ঠানের জমির নামজারির আবেদন নামঞ্জুর করায় রাজধানীর মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সাবেক এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার- ভূমি) ফয়জুন্নেছা আক্তারের শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জন্য তার বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে নামানো হয়েছিল।

কিন্তু নবীন কর্মকর্তা বিবেচনায় রাষ্ট্রপতির আদেশে ওই লঘুদণ্ডও বাতিল করা হয়েছে। গত ১ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ফয়জুন্নেছা আক্তার মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) থাকাকালীন ‘গোল্ডেন সন লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের সম্পত্তি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নামজারি আবেদন করেন। তবে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তির 'খ' তালিকাভুক্ত হওয়ার অজুহাতে ওই প্রতিষ্ঠানের নামজারির আবেদন দুই দফা নামঞ্জুর করেন।

যদিও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পরিত্যক্ত তালিকা থেকে অবমুক্ত করেছে।

এছাড়া বর্ণিত হোল্ডিংয়ের অন্য দুটি নামজারি আবেদন ফয়জুন্নেছা আক্তার অনুমোদন দেন, যা অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানের পর পর দুটি নামজারি আবেদনের মধ্যবর্তী সময়ে দাখিল করা হয়। ফয়জুন্নেছা আক্তার নামজারি আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে ত্রুটিপূর্ণভাবে নামঞ্জুর করেন। যদিও আলোচ্য তফসিলের সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি তালিকা থেকে অবমুক্ত বলে ২০ তলা বিশিষ্ট পল্টন টাওয়ারের আরও অনেক নামজারি অনুমোদিত হয়েছে।

এ বিষয়টি জেনেও ফয়জুন্নেছা আক্তার মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলে দায়িত্ব পালনকালে জেনেশুনে অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেডকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেননি এবং তার সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়।

‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী তদন্তে ফয়জুন্নেছা আক্তারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ২৩ জানুয়ারি তাকে আগামী ২ বছরের জন্য 'বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ' অর্থাৎ ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫৫০০-৬৭০১০/- টাকা বেতন স্কেলের নিম্নধাপ ৩৫৫০০/- টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণ সূচক ‘লঘুদণ্ড' দেয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, ফয়জুন্নেছা আক্তার এ লঘুদণ্ড থেকে অব্যাহতির জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি সদয় হয়ে তার আবেদন মঞ্জুর করেন। ‘আপিলকারী একজন নবীন কর্মকর্তা, চাকরির বয়স বিবেচনা করে তার আবেদন মঞ্জুরপূর্বক তাকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো’ মর্মে আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

তাই তাকে ‘২ বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক 'লঘুদণ্ড' বাতিল করে বিভাগীয় মামলায় থাকা অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh