জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১১ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ‘শিক্ষার্থীর ওপর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ প্রতিষ্ঠার’ অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আজ রবিবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া রেজিস্ট্রার দপ্তর, প্রক্টর, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে অনুলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সফলভাবে সম্পন্ন করে বর্তমানে দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন কর্মস্থলে কর্মরত রয়েছি। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানতে পারি যে, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে বহিষ্কার (সাময়িক) করা হয়েছে এবং কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এর জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিত হয়েছে যে, উপরিল্লিখিত শিক্ষার্থী উপাচার্যের অনুমতি ব্যতীত অডিও কল রেকর্ড ধারণ করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এমন অভিযোগ শুনে সেই অডিও কল রেকর্ডটি সংগ্রহ করে আমরা তা শুনেছি। অডিও কল রেকর্ডটিতে শিক্ষার্থীদের মতের প্রতি অসহনশীল ব্যবহার এবং চরম অসন্তোষ স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রকাশ ও দাবি আদায়ের পদ্ধতি গঠনমূলক ও মার্জিত হওয়া উচিত ছিলো বলে আমরা মনে করি।
আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হয়ে শিক্ষার্থীরা ভুল করলে আপনি শাসন করবেন এটাই স্বতঃসিদ্ধ এবং স্বাভাবিক। কিন্তু এমন অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনায় বহিষ্কারাদেশ (সাময়িক), তা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় অভিভাবকের কাছে সাবেক শিক্ষার্থীদের অনুরোধ এই যে, এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে বহিষ্কারাদেশ (সাময়িক) প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুস্থ-সুন্দর ও স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।