পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখির সুরক্ষা চাই

মো. আশরাফুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:১১ পিএম | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:১১ পিএম

শীতের আগমনের সাথে সাথে আমাদের দেশে নাম না জানা অসংখ্য অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। অতিথি পাখির সব থেকে বড় আশ্রয়স্থল হলো এদেশের বিভিন্ন হাওড়-বাঁওড় ও জলাশয়। শীত এলেই জলাশয়গুলো হাজারো পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। এসব পাখি উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল ও হিমালয়ের আশপাশের কিছু এলাকা থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। 

এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, রাজসরালি, ডাহুক, পানকৌড়ি, নলকাক, গাংচিল, হুটটিটি, হারগিলা, শামুককনা, সারস, জললিপি ইত্যাদি অন্যতম।

অতিথি হয়ে অসংখ্য পাখি আমাদের দেশে আসলেও আমরা অনেকেই তাদের সাথে অতিথিসুলভ আচরণ করি না। এসব পাখি শিকারে প্রয়োগ করি নানা ধরনের কৌশল। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এসব পাখি আমাদের দেশে আসে বাঁচার জন্য, কিন্তু এখানে এসেও তাদের শেষ রক্ষা হয় না। বন্দুকের গুলি, চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কারেন্ট জাল পেতে, বিষটোপ দিয়ে প্রায়শই এসব অতিথি পাখি শিকার করা হয়ে থাকে। 

আর এ কারণেই আমাদের দেশে দিনদিন অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসছে। নির্বিচারে পাখি শিকারের কারণে অনেক প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হতে চলছে। অতিথি পাখি আমাদের উপকারি বন্ধু। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখির ভূমিকা অপরিসীম। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখির সুরক্ষা জরুরি।

মো. আশরাফুল ইসলাম

তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh