চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ, ক্ষুব্ধ জবি ট্রেজারার

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩১ পিএম

 ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। ছবি: প্রতিনিধি

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। ছবি: প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাস ও এর আশপাশে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এমন সংবাদ প্রকাশ করার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাংবাদিকদের আলোচনা করে নেয়ার কথা বলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যের শুরুতে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমি একটি নিউজ দেখলাম আজ, প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। কারা চাঁদা উঠাবে, এখানে রিকশা থামিয়ে ইয়ে করবে। আমি জানি না। আমি সাংবাদিককে বলবো, এগুলো নিউজ করার আগে অন্ততপক্ষে ছাত্রলীগের যারা নেতৃবৃন্দ আছে, প্রক্টর আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যেন নিউজটা করা হয়। কারণ এটাও একটা বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। আমি একটা নিউজ করে দিলাম যে, ছাত্রলীগের নেতারা এখান থেকে চাঁদা উঠায় রিকশা থামিয়ে। এগুলো কারা করে আমাদের তা জানতে হবে, বের করতে হবে। যাই হোক আমরা এটা কোনোভাবে দিবো না। এখন ছাত্রলীগের যে সুনাম আছে সেই সুনামটা ধরে রাখতে হবে। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রিন্ট ও অনলাইনে ‘রাতে ছাত্র, দিনে ছিনতাইকারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একজনের নাম সাজবুল ইসলাম। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে ‘ফাও’ খেতে গিয়ে বাধা দেওয়ায় ম্যানেজারকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে বিচার করতে দেয়া হয়নি বলে জানা যায়। এছাড়া নানা সময়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। বাকি দু’জন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মুকিত ও বিভাগীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মৃদুল হাসান। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তারা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের মারধর, হুমকি এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন দোকান, বাসস্ট্যান্ড থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদের সঙ্গে একই শিক্ষাবর্ষের আরও অন্তত চার-পাঁচজন সহযোগী রয়েছে বলে জানায় এসব সূত্র। যেখানে মধ্যরাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনের এলাকায় পথচারীদের টেনে বাসের আড়ালে নিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই এবং বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনা তুলে ধরা হয়। এই সংবাদে এসব ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের নাম পরিচয়ও তুলে ধরা হয়। যারা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh