বর্ষায় আসবাবপত্রের যত্ন

আজহার মাহমুদ

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৪ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বর্ষা মানেই আর্দ্র আবহাওয়া। বাতাসে থাকে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প। তাই বর্ষাকালে সব কিছুরই বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। জামা-কাপড় থেকে শুরু করে আসবাবপত্রেরও যত্নের প্রয়োজন। জেনে নেই বর্ষাকালে কীভাবে আসবাবের যত্ন নেওয়া যায়:

আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন: পানি ভেজা আবহাওয়া কাঠের প্রধান শত্রু। বর্ষাকালে আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ঘরের দেয়ালের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। আর দেয়াল থেকে আর্দ্রতা টানার একটা প্রবণতা থাকে কাঠের আসবাবের। যার ফলে আসবাবে ছত্রাক পড়ে চকচকে ভাব নষ্ট হতে পারে। তাই ছত্রাক থেকে বাঁচাতে আসবাবপত্র দেয়াল থেকে কম পক্ষে ছয় ইঞ্চি দূরে রাখুন। বৃষ্টির সময় চেষ্টা করুন ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে। বৃষ্টি বন্ধ হলে জানালা খুলে দিন। এতে ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করবে। ঘর আর্দ্রতামুক্ত থাকবে।

হিউমিডিফায়ার ব্যবহার: মূল্যবান আসবাবগুলো ভালো রাখতে কিনতে পারেন হিউমিডিফায়ার। এটা ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখবে স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করবে। আর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা মানেই, আসবাবের স্থায়িত্ব কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়া।

আসবাবপত্র পরিষ্কারে শুকনো কাপড় ব্যবহার: আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে ভেজা কাপড় ব্যবহার করবেন না। শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে কাঠের আসবাবপত্র মুছতে হবে। প্রয়োজনের নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। ভুল করেও ভেজা কাপড় লাগাবেন না, এতে আসবাবপত্রে ছত্রাক পড়তে পারে এবং আর্দ্রতার কারণে ফাটলও ধরতে পারে।

নিমের তেল ব্যবহার: বর্ষাকালে কাঠের আসবাবে পোকা বা ঘুণ ধরার প্রবণতা বাড়ে। নিমপাতা, নিমের তেল, কর্পূর রাবিং অ্যালকোহল বা স্পিরিট একসঙ্গে মিশিয়ে একটা স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন এবং যেখানে ঘুণ ধরেছে সেখানে স্প্রে করে দিন। এই মিশ্রণ আসবাবকে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাবে।

কর্পূর বা ন্যাপথলিন ব্যবহার: আর্দ্রতা শোষণের কার্যকরী একটি উপাদান হলো কর্পূর বা ন্যাপথলিন। এটি আর্দ্রতা শুষে নেবে। কাজেই বর্ষাকালে ফার্নিচারের কোণে কর্পূর বা ন্যাপথলিন দিয়ে রাখুন। কেবল কাপড়ই নয়, কাঠের ওয়ার্ড্রোব বা আলমারিও পোকামাকড়সহ অন্যান্য কীট থেকে রক্ষা করে। কেবল বর্ষাই নয়, স্যাঁতসেঁতে গন্ধ এড়াতে সারা বছরই প্রয়োজনীয় আসবাবে এই ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে পারেন।

বার্নিশ চায়ের লিকার: কাঠের আসবাব ভালো রাখতে বছরে দু-একবার বার্নিশ বা লিকারের প্রলেপ দিতে পারেন। কড়া করে চায়ের লিকার তৈরি করে নিন। এবার তার মধ্যে সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে আসবাবপত্রের ফাঙ্গাস লাগা অংশ পরিষ্কার করুন। আর বার্নিশের মাধ্যমে কাঠের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে এর ফোলাভাব দূর হয়ে কাঠ ভালো থাকবে।

মেঝে শুকনো রাখুন: ঘরের মেঝে বিভিন্ন রকম হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বাইরের আর্দ্রতা প্রভাব ফেলে মেঝেতে। ফলে ঘরের মেঝে ভেজা স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন অবস্থা থাকলে কাঠের আসবাবের ক্ষতি হতে পারে খুব দ্রুত। তাই বাসার মেঝে সব ঋতুতেই শুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। এজন্য শুকনা কাপড় দিয়ে মেঝে মুছে নিন এবং সিলিং ফ্যান চালু করে রাখুন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh