ভাঙন আতঙ্কে মেঘনা পাড়ের মানুষ

আশিক বিন রহিম, চাঁদপুর

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২২ পিএম

ভাঙন আতঙ্ক বেড়েছে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। ছবি: চাঁদপুর প্রতিনিধি

ভাঙন আতঙ্ক বেড়েছে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। ছবি: চাঁদপুর প্রতিনিধি

বর্ষা এলে জলে টইটম্বুর পদ্মা-মেঘনা যেমন নেচে ওঠে ঢেউয়ের প্রহারে, তেমনি নদীপাড়ের ভাগ্যাহত মানুষের চোখেও বেড়ে যায় নোনাজলের উচ্ছল। ভাঙন আতঙ্ক বেড়ে যায় চাঁদপুর জেলা সদরের পশ্চিমে পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। যদিও এ অঞ্চলে ভাঙন বছরজুড়ে অব্যাহত থাকে। তবে বর্ষা এলে সেটি বেড়ে যায় বহুগুণে।

বর্তমানে চাঁদপুর সদরের ইব্রাহীমপুর, রাজরাজেশ্বর এবং প্রতিবেশী শরীয়তপুর নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এসব এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে স্থানীয়দের আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি চাঁদপুর সদরের দুটি ইউনিয়নে দেড় শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিমে অধিকাংশ এলাকা শরীয়তপুর জেলা সীমান্তে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান হচ্ছে ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের একাংশ আলু বাজার ফেরিঘাট। এ স্থানটির প্রায় ১ কিলোমিটারজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও শত শত বসতি গত কয়েক মাস ধরে মেঘনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা দেয়। বর্ষার পানি কমা শুরু করলে ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অস্থায়ীভাবে স্থানীয়রা নিজেদের বসতভিটা রক্ষা করার চেষ্টা করলেও তা হচ্ছে না। তারা বাঁশ দিয়ে বাঁধ তৈরি করে সম্পত্তি রক্ষা চেষ্টা করছেন। কিন্তু স্রোত আর ঢেউয়ের সঙ্গে তা কুলিয়ে উঠছে না।

ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খান জানান, ভাঙন এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। কয়েকবার বালু ভর্তি অস্থায়ীভাবে জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে ভাঙন এলাকায় প্রতিরোধের চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু বর্ষা এলে এবং পানি কমলে ভাঙন বাড়তে থাকে। স্থায়ী বাঁধ দিয়ে এলাকা রক্ষা করা খুবই জরুরি।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ইব্রাহীমপুর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটির ডিজাইন ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই অর্থবছরের শুরুতে আমরা এটি দাখিল করব। পাশাপাশি যেখানে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে পরিদর্শন করে খুব দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh