কর্মক্ষেত্রে বাড়ছে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার, সঙ্গে শঙ্কাও

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৯ এএম

চ্যাটজিপিটি। ছবি: সংগৃহীত

চ্যাটজিপিটি। ছবি: সংগৃহীত

চ্যাটজিপিটি আসার পরই বিশ্বব্যাপী এটি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। কর্মস্থলে নিত্যদিনের কাজ সহজেই সারতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রাথমিক পর্যায়ে দাফতরিক কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। এতে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। ফলে মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর ব্যবহার সীমিত করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল চ্যাটজিপিটি নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও অনেকে একে গুগলের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করায়। রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।  

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিজীবীরা ই-মেইল লেখা, নথিপত্রের সারসংক্ষেপ তৈরি ও প্রাথমিক গবেষণার কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। 

এদিকে জুলাই মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত রয়টার্স ও ইপসোস একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপটিতে দেখা যায় জরিপে অংশ নেওয়া ২৮ শতাংশ জানিয়েছেন, কাজের ক্ষেত্রে তারা নিয়মিতভাবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে। ২২ শতাংশ বলছেন, তাদের নিয়োগদাতারা এই প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। এছাড়া ১০ শতাংশ মানুষ বলেছে, তাদের কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে এআই টুল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আর ২৫ শতাংশ বলেছে, তারা ঠিক জানেন না, এআই টুল ব্যবহারে কোম্পানির অনুমতি আছে কি না। 

জরিপ ওঠে আসে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের কারণে কোম্পানির কর্মীরা যখন এতে তথ্য প্রবেশ করান, সেই তথ্য সেখানে থেকে যায়। এর ফলে সেই তথ্য এআই অন্যত্র ব্যবহার করতে পারে। ফলে নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। 

গুগলের বার্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মানুষ যখন এটি ব্যবহার করে, তখন বার্ড ব্যবহারকারীদের টেক্সট, স্থান ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে। 

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এআই চ্যাটবট ব্যবহারে এখনই পাইকারি হারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কিছু হয়নি, কারণ এগুলো ব্যবহারে মানুষের সক্ষমতা বাড়ে। তবে তা ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার সুযোগ আছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh