আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪৪ পিএম
নাইজারের সামরিক শাসক জেনারেল আব্দুর রহমান তিয়ানি। ছবি: সংগৃহীত
নাইজারের সামরিক শাসক জেনারেল আব্দুর রহমান তিয়ানি পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর তিনি জানান, ৩ বছরের মধ্যে গণতন্ত্র পুনর্বহাল হবে। এ সময়ের আগ পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসক বহাল থাকবে।
একই সাথে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, নাইজার সরকার নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে। গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে জেনারেল তিয়ানি একথা জানান।
আজ রবিবার (২০ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থানের নেতারা কিংবা নাইজারের জনগণ যুদ্ধ চায় না বরং সংলাপে বসতে আগ্রহী। তিয়ানি বলেন, যদি আমাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হয় তাহলে জেনে রাখতে হবে, সে আগ্রাসন পার্কে হেঁটে যাওয়ার মতো সহজ কোনো বিষয় হবে না।
ইকোওয়াস একটি বিদেশী সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে একটি আগ্রাসী সেনাবাহিনী গঠন করতে চায় বলে দাবি করেন জেনারেল তিয়ানি। তবে তিনি ওই বিদেশী রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
নাইজারের সামরিক শাসক বলেন, তিনি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার জন্য জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে চান। জেনারেল তিয়ানি দাবি করেন, তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে আসেননি বরং সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্র পুনর্বহাল করে ব্যারাকে ফিরে যাবেন।
নাইজারের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের প্রধান জেনারেল তিয়ানি গত ২৬ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেকে নাইজারের নেতা ঘোষণা করেন।
এরপর গত ৩০ জুলাই পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ জাতির জোট ইকোওয়াস ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য অভ্যুত্থানকারী নেতা তিয়ানিকে এক সপ্তাহের সময় দেয়। ওই সময়সীমা মেনে না নিলে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেয় ইকোওয়াস। গত ৬ আগস্ট রোববার ওই সময়সীমা শেষ হয়েছে।