বরিশালে ব্যাংক ও নগদের কোটি টাকা নিয়ে উধাও বিক্রয় প্রতিনিধি

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম

বরিশাল জেলার মানচিত্র

বরিশাল জেলার মানচিত্র

বরিশালের হিজলা এবং মুলাদীতে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে নগদের এক বিক্রয় প্রতিনিধি। এর মধ্যে নগদ ডিলারের ৫০ লাখ এবং পূবালী ব্যাংক মুলাদী উপজেলা শাখার ৫৫ লাখ।

পালিয়ে যাওয়া নগদের বিক্রয় প্রতিনিধি লিমন হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কোলচর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন নগদের ডিলার জিহাদুর রহমান।

যদিও পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের ৫৫ লাখ টাকা নয়, ব্যাংক থেকে এক লাখের মতো টাকা নিয়ে পালিয়েছে লিমন নামের যুবক। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পূবালী ব্যাংক মুলাদী শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

হিজলা, মুলাদী উপজেলা এবং মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানা এলাকার নগদের ডিলার ভুক্তভোগী জিহাদুর রহমান জানিয়েছেন, লিমন তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান হতে নগদ এজেন্টদের কাছ থেকে কোম্পানির টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা দিতেন।

প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার এজেন্টদের কাছে থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা বলে মুলাদী যায়। সেখানে টাকা জমা না দিয়ে উল্টো আমার (ডিলার) একটি ব্লাংক চেক জমা দিয়ে পূবালী ব্যাংক থেকে ৫৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এর পর থেকেই লিমন লাপাত্তা।

তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে আমার অনুমতি ছাড়া এতোগুলো টাকা উত্তোলন করলো লিমন, অথচ টাকা উত্তোলনের আগে ব্যাংক আমার সাথে এ বিষয়ে কোন ধরনের যোগাযোগও করেনি। এটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা। এখন ব্যাংক থেকে নেওয়া টাকার দায়ভার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।

এদিকে ঘটনার দুদিন অতিবাহিত হলেও নগদ বা ব্যাংক থেকে এক কোটির বেশি টাকা নিয়ে বিক্রয় প্রতিনিধির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় কোন মামলা এমনকি জিডিও হয়নি। তবে ডিলার জিহাদুর রহমান জানিয়েছেন, বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ দিবেন।

অপরদিকে পূবালী ব্যাংকের মুলাদী শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য স্বীকার করলেও টাকার অংক বলতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ওতো টাকা নয়, প্রায় লাখের মতো নিয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করেছি।

হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অভিযুক্তের বাড়ি হিজলা উপজেলায় হলেও ঘটনাটি ঘটেছে মুলাদী উপজেলায়। শুনেছি মুলাদী থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে। বিস্তারিত তারা বলতে পারবে।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh