নোয়াখালীতে স্বামীর সহায়তায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৭ এএম

সুধারাম থানা। ছবি: প্রতিনিধি

সুধারাম থানা। ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্বামীর সহায়তায় গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।    

আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে সুধারাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।  

গ্রেপ্তার মো. মাসুদ (২৬) উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। মামলার অপর আসামি নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল (২৬)।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের সিএনজিচালক হেলাল ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে ভিকটিমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত রবিবার রাতে তিনি সিএনজি চালানো শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। তখন স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরের সামনের কক্ষের মাটিতে বিছানা পেতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময় তার স্বামী তাকে জানান তার পক্ষে আর একা সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। একজন লোক আসবে তার সাথে তোমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। এমন কথা শুনে স্বামীর সাথে তার স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামী তার স্ত্রীকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। 

মামলায় আরও বলা হয়েছে, একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে আমার স্বামী আমার সালোয়ার কামিজ খুলে ফেলে। একই সাথে আমার পরনের ওড়না দিয়ে আমার দুই হাত বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে আমার স্বামী বসতঘরের দরজা খুলে দিলে ধর্ষক মাসুদ ঘরে প্রবেশ করে। ওই সময় আমার স্বামী আমার হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে দুই হাত ও মুখ শক্ত করে ধরে মাসুদকে বলে আমার সাথে যা ইচ্ছা তা করতে। একপর্যায়ে আমার স্বামীর সহায়তায় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাসুদ আমাকে ধর্ষণ করে। সকালবেলা আমি বিষয়টি পরিবারের সবাইকে জানাই।    

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে। পরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh