নওগাঁয় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

নওগাঁর বদলগাছীতে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে দোকান লুটপাটের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার  করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, সিএনজি এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে একটানা ৫দিন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের ওসমান সরদারের ছেলে ওয়াজ কূরনী (৩৭), একই গ্রামের মৃত শামমু শেখের ছেলে বেল্লাল শেখ (২৬), আবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২), বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার উৎরাইল গ্রামের শেখ মোহাম্মদের ছেলে আবু বক্কর (৫৫), একই উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল (৫৫), নওগাঁ সদর উপজেলার চকপ্রাচী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. নান্টু (৩২), নওগাঁ সদর উপজেলার নামানুরপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. আসাদুল (২৯)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বদলগাছী উপজেলার বৈকুন্ঠপুর বাজারে দুইজন নৈশ প্রহরীসহ তিনজনকে ভয় দেখিয়ে পাশের মরিচ ক্ষেতে বেঁধে রাখে। এরপর ৬টি দোকানের তালা কেটে ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল কীটনাশক, মনোহারী সামগ্রী ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর দোকান মালিকরা থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর পুলিশ একটানা ৫দিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, সিএনজি এবং লুণ্ঠিত মালামাল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট দুপুরে নান্টু নামে এক ডাকাত মোটরসাইকেলে করে ডাকাতিস্থল পর্যবেক্ষণ করে। এবং অন্য ডাকাতদের সদর থানার তিলকপুর ইউনিয়ন এলাকায় রাত্রী বেলায় নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। পরিকল্পনা মাফিক তারা বদলগাছী থানার বৈকুন্ঠপুর বাজারে একত্রিত হয়। সেখানে গভীর রাতে দুইজন নৈশ্য প্রহরীসহ তিনজনকে ভয় দেখিয়ে বাজারের পাশে মরিচ খেতে কাঁচা পাট ও কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখেন। এরপর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কয়েকটি দোকানে চালানো হয় লুটপাট।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজিউর রহমান বলেন, এরই মধ্যে আসামি রবিউল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামি গ্রেপ্তার এবং বাকি মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।