লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৯ পিএম
তিস্তা নদীর ভাঙন। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে বৃদ্ধি পাওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি কমেনি। এদিকে পানি কমার সাথে সাথে তিস্তার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকাল ৩টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এর আগে শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি প্রবাহ দ্রুত কমে বিপৎসীমার নিচে চলে যায়।
আর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তার বাম তীরে সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, খুনিয়াছ, বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
এদিকে চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি ঘরে এখনো পানি রয়েছে। এখনো পানিতে ডুবে আছে আমন ধানসহ অনেক ফসলি জমি। নদী চর ও নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি ঘরের উঠনে পানি রয়েছে। এখনো অনেক রাস্তায় পানি রয়েছে। জেগে উঠা রাস্তায় জমে আছে কাদা মাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। কিছুটা উঁচু বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদা মাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। উঁচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ করছেন। এখনো অনেক বাড়িতে নলকুপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে আছে। বিশুদ্ধ পানি সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়েছেন বানভাসি মানুষ।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানান, উজান থেকে পাহাড়ি ঢল কম আসায় দ্রুত কমছে তিস্তা নদীর পানি। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। এখনো বেশ কিছু এলাকার ঘর-বাড়িতে নদীর পানি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ রাখছি। জেলায় দুর্যোগকালীন চাল ও টাকা বরাদ্দ আছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইউএনও এবং পিআইওর মাধ্যমে শীঘ্রই চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হবে।